শিল্পীর মৃত্যু হয় না। তিনি বেঁচে থাকেন তাঁর শিল্পের মাধ্যমে। তাঁর স্মৃতি প্রতি মুহূর্তে নস্টালজিক করে তোলে তাঁর অনুরাগীদের। 26শে এপ্রিল 93তম অস্কার অ্যাওয়ার্ডে ভারতের কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (soumitra chatterjee)-কে ভার্চুয়ালি স্মরণ করা হল। একইসঙ্গে স্মরণ করা হল অভিনেতা ইরফান খান (irfan khan), সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh Rajput), কস্টিউম ডিজাইনার ভানু আথাইয়া (Bhanu athaiya), শন কনারি (Sean connery), ক্রিস্টোফার প্লামার (Christopher plummer), শ্যাড বোসম্যান ( Chadwick boseman)-কেও। অ্যাকাডেমির তরফে অনলাইন একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয় এই শিল্পীদের চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি যা কোনোদিন পূরণ হবার সম্ভাবনা নেই।
এরপরেই একটি সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা পৌলমী বোস (poulami bose) বলেন, সৌমিত্রবাবু কোনোদিন কোনো পুরস্কার নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। তিনি আজীবন নিজের সৃষ্টিশীলতায় মগ্ন থেকেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘বাবি’ অর্থাৎ সৌমিত্রবাবুর এই প্রাপ্তিতে পৌলমী যথেষ্ট সম্মানিত বোধ করেছেন। তিনি চান পৃথিবী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে এভাবেই মনে রাখুক। আপাতত পৌলমী সৌমিত্রবাবুর কাজগুলি গুছিয়ে আর্কাইভ করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন।
গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি হন সৌমিত্রবাবু। পরে করোনামুক্ত হলেও তাঁর মস্তিষ্ক, ফুসফুস ও মূত্রথলিতে পুরানো ক্যান্সারের সংক্রমণ শুরু হয়। ফলে শেষরক্ষা হয়নি। ভারতবর্ষ হারায় তার ‘অপু’কে। সৌমিত্রবাবুর শেষ ছবি ছিল ‘অভিযান’ যা ছিল তাঁর বায়োপিক এবং ‘বেলাশুরু’। বেলা শুরুর অভিযানে রইলেন না অপু, পড়ে রইল মুকুটটা।