আগামী বুধবার অর্থাৎ জামাইষষ্ঠী থেকে চালু হতে চলেছে বাস সার্ভিস। সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নে এই নিয়ে পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের মাধ্যমে একই সাথে তিনি করোনা ভাইরাসের সর্তকতা নিয়ে একাধিক কথোপকথন করবেন। আগামী ১৫ জুন শেষ হচ্ছে করোনা ভাইরাসের বিধি নিষেধের সময়সীমা। তার পরের দিন অর্থাৎ জামাইষষ্ঠীর দিন থেকেই হয়তো খুলে যেতে চলেছে সমস্ত বাস সার্ভিস।
তার পাশাপাশি বিভিন্ন করোনাভাইরাস বিধিতে শিথিলতা আনার সম্ভাবনা রয়েছে আজকের বৈঠকে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী, বনমন্ত্রী সহ একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী এবং প্রতিনিধিরা থাকতে চলেছেন এই বৈঠকে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমাগত নিম্নমুখী। তাই এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস বিধির উপরে শিথিলতা জারি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মমতা। এছাড়াও গনপরিবহনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে আজকের বৈঠকে। তবে এখনই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে কিনা বা কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কিনা সেই নিয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, পূর্ব রেলওয়ে নিজেদের সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে যেন জামাইষষ্ঠীর দিন থেকে চালু হয়ে যায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
ইতিমধ্যেই পরিবহন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের টিকাকরণ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। তার পাশাপাশি পরিবহন কর্মীদের করোনা ভাইরাস যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বহু পরিবহনকর্মী ইতিমধ্যেই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। সকলের কাছে এই বার্তা প্রেরণ করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য টিকাকরণ সবথেকে বড় রাস্তা। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে যেন টিকা নেওয়া হয়। এছাড়াও জায়গায় জায়গায় গিয়ে টিকাকরণের ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। সমস্ত বাস মালিক, বাস চালক এবং কন্ডাক্টরদের টিকাকরন করা হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও, বুধবার থেকে যদি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে যাতে সাধারণ মানুষের কোন অসুবিধা না হয় সেই জন্য প্রত্যেকটি বাস ডিপোকে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে বাস চলছে না। এই পরিস্থিতি অনেক সময় বাসের চাকা থেকে হাওয়া বেরিয়ে যেতে পারে, চাকা বসে যেতে পারে, ব্যাটারি ডাউন হয়ে যেতে পারে এমনকি ইঞ্জিন ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আগে থেকে সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তার পাশাপাশি যদি সমস্ত বাস ডিপো এবং সাথে থাকা সমস্ত বাস জীবাণুমুক্ত না করা হয় তাহলে এখনি বাস চালানো যাবে না। তাই আগে সমস্ত কিছু নিয়ে বৈঠক করা হবে, সমস্ত পক্ষের মতামত শোনা হবে, কার্যপদ্ধতি স্থির হবে, তারপরেই কোন একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবে রাজ্য সরকার। মনে করা হচ্ছে, আজকের বৈঠকে সমস্ত সমাধান সূত্র বেরিয়ে যাবে, আদৌ জামাইষষ্ঠীর দিন থেকে বাস সার্ভিস চালু হবে নাকি আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।