আবার বিতর্কে জড়ালেন ত্রিপুরার বিজেপির বিধায়ক অরুণ ভৌমিক। এর আগেও বেশ কয়েকবার বেফাঁস মন্তব্যের জন্য তাকে বিতরকের কেন্দ্রবিন্দু হতে হয়েছিল। আবারো তিনি হলেন একদিকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু অন্যদিকে আবার তৃণমূলের প্রচারের একটি অন্যতম প্রধান অংশ। একটি জনসভায় দাঁড়িয়ে ত্রিপুরার বিজেপির বিধায়ক বললেন, তালিবানিরা যেভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে সেই কায়দায় ত্রিপুরায় বিজেপি বিধায়ক অরুন ভৌমিক বললেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে হবে।
একটি প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিক বললেন, ” তৃণমূল নেতারা এয়ারপোর্টে নামবে তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করতে হবে। ” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশীর্বাদ যাত্রার মিছিল শেষ হবার পরে বিলোনিয়া টাউনে বিধায়ক অরুণ ভৌমিক এই বিতর্কিত মন্তব্য রাখলেন। তিনি বললেন, ” বিগত 25 বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে বিপ্লব দেব ত্রিপুরায় বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছেন। সে বিজেপি সরকারের উপরে পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির উস্কানিতে হামলা করা হচ্ছে।” এই অভিযোগ তুলে বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিক বলেছেন, আফগানিস্তানের যেভাবে তালিবানের আক্রমণ চালাচ্ছে, সেই কায়দায় তৃণমূলীদের উপর আক্রমন করা হবে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে অরুণ ভৌমিক বিজেপি অনুগামীদের কাছে একটি অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্য ছুড়ে দিলেন, যার মাধ্যমে পরবর্তীতে সমস্যা আরো বাড়বে বৈ কমবে না। তৃণমূলের তরফ থেকে এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। বর্তমানে বিজেপির বিভিন্ন নেতার মুখে তালিবান কথাটি ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে। এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ত্রিপুরার সো কল্ড দিদি প্রতিমা ভৌমিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন চলছে যেভাবে ঠিক সেই ভাবে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস শাসন চালাচ্ছে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী বলছে অতিথি দেবো ভব, অন্যদিকে আবার তৃণমূল নেতাকর্মীদের মারধোর করা হচ্ছে, হোটেল গাড়ি অব্দি দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপির এই শাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কুনাল ঘোষ সহ আরো অনেকে। তবে রাজনৈতিক মহলের কাছে এখন সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় অরুণ ভৌমিকের মন্তব্য। একটি প্রকাশ্য জনসভায় একজন বিধায়ক, কিভাবে এরকম একটি অত্যন্ত উসকানিমূলক মন্তব্য করতে পারেন, সেই নিয়ে সরব রাজনৈতিক মহল।