করোনা মহামারীর জেরে প্রায় অনেকদিন ধরেই সাট ডাউন ছিল কলকাতার সিনেমা হল। এই মহামারীর জন্য দেউটি-কলকাতার বেশিরভাগ সিঙ্গলস্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের পথে। করোনা প্রবেশের আগে কলকাতার বহু ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায় একথা ও সত্যি। গত কিছু বছরের চেনা ছবি এবার পাল্টে দিল ‘প্রাচী’ প্রেক্ষাগৃহ। মধ্য কলকাতায় শিয়ালদা স্টেশনের কাছে আইকনিক এই প্রেক্ষাগৃহ নতুন জীবন লাভ করল ৷ নতুন রূপে ফিরে এল সত্তরোর্ধ্ব এই প্রেক্ষাগৃহ ৷
শত প্রতিকূলতা আসলেও ‘প্রাচী’ বন্ধ করবেন না ৷ কোনো বড় ব্যবাসায়ীর কাছে বিক্রিও করবেন না৷ এই ব্যপারে বদ্ধ পরিকর ছিলেন কর্ণধার বিদিশা বসু ৷ কথা রেখেছেন তিনি ৷ মাল্টিপ্লেক্সের দাপটের কাছে এখনো প্রাচী স্বমহিমায় থাকল নিজের জায়গাতেই ৷করোনা আবহে সকল সিনেমা হল, বার-রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছু শিথিল হতেই নতুন সাজে নতুন রুপে প্রাচী। আর এই হল খুলতে সিনেপ্রেমীরাও খুশি।
দর্শকদের জন্য প্রাচীর আসন সেজেছে লাল ভেলভেটের কাপড়ে। তার ওপর সুন্দর করে কালো কালি দিয়ে দুটি শব্দ লেখা ” প্রাচী সিনেমা ”। এই দুই শব্দের নামের পাশে স্থান করে নিয়েছে সুন্দর ক্যামেরার একটি ছবি। প্রেক্ষাগৃহের প্রতিটি সিঁড়িও সেজে উঠেছে নতুন করে। আর হলের প্রতিটি দেওয়াল জুড়ে রয়েছে সুন্দর কিছু সিনেমার পোস্টার। সত্যি বলতে গেলে এই নতুন সাজ প্রাচী বলাই পেক্ষাগৃহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে। এই মুহূর্তে পেক্ষাগৃহে ” মুখোশ ” ও ” বেল বটম ” দুটি সিনেমা দিয়ে শুরু হয়েছে।
প্রাচী-র নতুন যাত্রায় আনন্দিত পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নিজে। এই নতুন প্রাচীর সাজসজ্জার ছবি শেয়ার করে নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে তিনি প্রাচীর কর্ণধারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিদিশা বসুকে। পাশাপাশি সঙ্গে প্রাচী-তে সকলকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন শিবপ্রসাদ ৷ উল্লেখ্য, শিবপ্রসাদ আর নন্দিতার পরিচালমায় ” বাবা বেবি ও ” , ” লক্ষী ছেলে ” , ” হামি ২ ” সহ বেশ কিছু ছবি পরপর কিছু ছবি খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে।