একই শহরে একই কারণে দুই রাজনৈতিক দল আজ মিছিল করল। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে মিছিল শুরু করেন বিজেপি নেতারা। তারা শ্যামবাজার থেকে মিছিল শুরু করে বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি অব্দি যান। তারা আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে এই মিছিল করেন। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতৃত্ব যেমন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে, তৃণমূলের নেতৃত্বে গোলপার্ক থেকে একাধিক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূল চেতনা মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। সেই মিছিলে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মিছিল চলেছে গড়িয়াহাট, ট্রাংগুলার পার্ক, রাসবিহারী মোড় ও শেষ হয়েছে হাজরা মোড়ে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে তাদের আজকে স্বামীজীর বাড়িতে আসা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কর্মসূচি। তাই তাদের মিছিলে কোন দলীয় পতাকা ছিল না। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “এই নিয়ে ২০ বছর হয়ে গেল যে আমরা এখানে এসে শ্রদ্ধা জানাই। স্বামীজীর আদর্শে আমরা খুবই অনুপ্রাণিত। স্বামীজীর পথ অনুসরণ করে আমরা এগোই। এই মিছিলের সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আমি কলেজ ছাত্র হিসাবে এখানে এসেছিলাম আবার একজন মন্ত্রী হিসেবে এখানে এসেছিলাম। আজ একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে স্বামীজীর বাড়িতে এলাম।”
কিন্তু অন্যদিকে বিজেপির মিছিলকে নিশানা করে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, “আমরা ছোট থেকে বিবেকানন্দকে নিয়ে বড় হয়েছি। আমাদের কাছে এই দিনটা একটু অন্যরকম এবং অন্যরকম আবেগের।আমাদের বাঙালি সাজার জন্য স্বামীজির জন্মদিন উদযাপন করতে হয়না। কিন্তু বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ পেয়ে কর্মসূচি করতে আসছে। না হলে আজকে মিছিলে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে দিল্লি থেকে আসতে হতো না।”