পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০২১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের মাসে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। শুরুতে মহিলাদের জন্য মাসিক ভাতা ছিল ৫০০ টাকা, কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্পের জনপ্রিয়তার কারণে এই পরিমাণ বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়। বর্তমানে, তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা পান।
কত টাকা বাড়বে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে?
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের লক্ষ্য হল মহিলাদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি এবং তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করা। রাজ্যের অধিকাংশ মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, যা ভোটব্যাঙ্কে তৃণমূলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগামী নির্বাচনের আগে এই ভাতা ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের শর্ত
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে। আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এবং তার পরিবারের নাম স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় থাকতে হবে। আবেদনকারিণীকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে ফ্রি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে, যার সাথে দিতে হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স, আধার কার্ড এবং রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। তাছাড়া, আবেদনকারী যদি তপশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের হন, তবে তাদের সেই সার্টিফিকেটও প্রদান করতে হবে। আবেদনকারীকে এই ব্যাপারে একটি চিঠি লিখে দিতে হবে যে তিনি কোনও সরকারি চাকরি বা পেনশন পাচ্ছেন না এবং তার দেওয়া সব তথ্য সঠিক। সরকারি কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই করে অনুমোদিত হলে, প্রকল্পের টাকা সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।