একের পর এক সংঘাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কঙ্গনাকে। বলিউডের কালা পর্দা সরিয়ে দেওয়ার জন্যেই কি কঙ্গনাকে এমন দিন দেখতে হচ্ছে নাকি মুম্বাই পুলিশের গাফিলতিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্যেই? সুশান্ত মৃত্যুর পর থেকেই সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। বলিউডের নোংরা দিকগুলিকে সরাসরি তিরবিদ্ধ করেছিলেন কুইন কঙ্গনা। কখনো স্বজনপোষণ নিয়ে সর্ব হয়েছেন তো কখনো বলিউডের ড্রাগ সংযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন, তবে সব মিলিয়ে কঙ্গনাকেই দিতে হচ্ছে কঠিন খেসারত। একদিকে কঙ্গনার অফিস তছনছ তো অন্যদিকে কঙ্গনাকে মুম্বাই প্রবেশে বাঁধা। তবে কি কঙ্গনাকে সাঁড়াশি আক্রমন করা হচ্ছে?
কঙ্গনার মুম্বাইয়ের মণিকর্ণিকা অফিস তছনছ করেও ক্ষান্ত হয়নি মহারাষ্ট্র সরকার। এরপরেও, কঙ্গনার বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহের’ মামলা দায়ের করল শিবসেনা। থানের শ্রীনগরে কঙ্গনার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয় বলে সূত্রের খবর। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কঙ্গনা যে কঠিন মন্তব্য করেছেন, তাঁর জন্য অভিনেত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করে শিবসেনা।
উল্লেখ্য, সুশান্ত কেসের পরপর বিভিন্ন কারণে মুম্বই পুলিসের উপর কঙ্গনা ভরসা রাখতে পারেননি। এমনকি তিনি মুম্বাইকে তালিবান সাম্রাজ্যের সাথেও তুলনা করেছিলেন এবং তিনি মুম্বাইকে ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এরপরেই হুঙ্কার ছাড়েন শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। এইব্যপারে, শিবসেনা জানায়, মুম্বইতে কঙ্গনাকে থাকলে গেলে ওই মন্তব্যের জন্য কঙ্গনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি কঙ্গনা ক্ষমা চান তবেই তাঁর মুম্বাইয়ে প্রবেশ মিলবে। ঠিক এরপরেই কঙ্গনা পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, কারোর বাপের ক্ষমতা থাকলে আমাকে আঁটকে দেখাক। এরপরেই চরম খেসারত দিতে হয় কঙ্গনাকে। একদিকে মুম্বাইয়ের মণিকর্ণিকা অফিস তছনছ, অন্যদিকে কঙ্গনার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের’ মামলা দায়ের করে শিবসেনা।