“অধরের কানে যেন অধরের ভাষা। দোঁহার হৃদয় যেন দোঁহে পান করে। গৃহ ছেড়ে নিরুদ্দেশ দুটি ভালোবাসা, তীর্থযাত্রা করিয়াছে অধর সংগমে। দুইটি তরঙ্গ উঠি প্রেমের নিয়মে, ভাঙিয়া মিলিয়া যায় দুইটি অধরে। ব্যাকুল বাসনা দুটি চাহে পরস্পরে, দেহের সীমায় আসি দুজনের দেখা। প্রেম লিখিতেছে গান কোমল আখরে, অধরেতে থর থরে চুম্বনের লেখা।” রবীন্দ্রনাথের এই ‘চুম্বন’ কে আপনি অগ্রাহ্য করতে পারবেন না। কি মধুর প্রেমের কথা রবি ঠাকুর কত আগে বলে গেছেন। এমন রসের কথা আজকের দিনেও জীবন্ত। হ্যাঁ, আমাদের আজকের প্রসঙ্গ ‘চুম্বন’। এই চুম্বনের কিছু উপকারিতা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো যা আপনাকে উৎসাহ দেবে প্রেমে। চলুন সামাজিক ভয়, সংশয়, তিক্ততাকে দূরে রেখে চুম্বনের প্রতি ধ্যান দিই।
বিশেষজ্ঞদের মতে চুম্বন/ চুমু শুধু মাত্র ভালবাসার প্রকাশ নয়, এর কিছু স্বাস্থ্যগত বিষয়ও রয়েছে। আজ আমরা সেই বিষয়গুলি হাইলাইট করবো।
- চুমু খেলে ইমিউনিটি বাড়ে। চুমু খাওয়ার সময় পরস্পরের লালা মিশে যায়। যখন পার্টনারের মুখের লালার সঙ্গে আপনার মুখের লালা মিশে যায় তখন আপনার শরীর নতুন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
- মুখের পেশি শক্ত থাকে। হ্যাঁ, একমাত্র চুম্বনের সময় আপনার মুখের ৩০ টি পেশি সচল হয়ে ওঠে যা আপনার মুখমণ্ডলের পেশীকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে।
- চুমু খেলে মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে দ্রুত। এছাড়াও আপনি যদি টানা ৫ মিনিট চুমু খান তবে আপনার গালের ফোলা ভাব কমবে ও ক্যালোরিও বার্ন হবে দ্রুত।
- চুমু খাওয়ার সময় মস্তিষ্কের কর্টিসলের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা কমে যায়। তাই আপনি যখন মানসিক অশান্তিতে ভুগবেন তখন বিনা দ্বিধায় এঁকে অপরকে চুম্বন দিন।
- দিনদিন কাজের চাপ বাড়ছে। ফলে ফিকে হয়ে যাচ্ছে বৈবাহিক জীবন। একটা চুমু আপনার জীবনে রসবোধ যেমন আনবে তেমন উদ্বেগ ও হতাশাও কমাতে সাহায্য করবে।
তাই আর দেরি না করে রোজ চুমু খাওয়া প্র্যাকটিস করুন।