চন্দ্রযান-২ এর বিক্রমের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। গত কয়েকদিন ধরে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে ইসরো। তাদের হাতে ছিল ১৪ দিন সময় এবং আজ অর্থাৎ শনিবারই শেষ দিন। আজই চাঁদের মাটিতে আয়ু শেষ হচ্ছে ল্যান্ডার বিক্রমের। তবে এখনও বিক্রমের থেকে কোনও সিগন্যাল পাওয়া যায়নি ৷ তাহলে কী আর বিক্রমের সঙ্গে যোগযোগ স্থাপন করা যাবে না ?
৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডিংয়ের ঠিক ২.১ কিলোমিটার আগে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়৷ সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় শেষ মুহূর্তে হার্ড ল্যান্ডিং হয় বিক্রমের। জানা যায়, নির্ধারিত লক্ষ্যের মাত্র ৫০০ মিটার দূরে হার্ড ল্যান্ডিং হয়েছে বিক্রমের। তারপর শত চেষ্টার পরেও বিক্রমের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আজ থেকেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে শীতল রাত্রি শুরু হয়ে যাচ্ছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু ঢেকে যাবে ঘোর অন্ধকারে। চাঁদের একদিন পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান।
ফলে আগামী ১৪ দিন সূর্যের আলো পৌঁছবে না চাঁদে। যার দরুন তাপমাত্রা কমে মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়ায় হয়ে যাবে ৷ এত কম তাপমাত্রায় বিক্রমের বেশ কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট নষ্ট হতে যাবে। পাশাপাশি যত সময় যাচ্ছে বিক্রমের চার্জ শেষ হয়ে আসছে। সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়েই কাজ করে বিক্রমের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। কিন্তু চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কালরাত্রি নামার ফলে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই বিক্রমের সোলার প্যানেল সক্রিয় থাকবে। এর পরে সৌরশক্তির আলোর অভাবে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তাই ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা এখন প্রায় অসম্ভব কথা। চাঁদের মাটিতেই হয়তো চিরনিদ্রায় চলে গেল ল্যান্ডার বিক্রম।