নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে হালকা শীতের আমেজ। তবে বেলা বাড়লেই সেই শীতের আমেজ হয়ে যাচ্ছে কোথাও উধাও। ভোর এবং রাত্রের দিকে ঠান্ডা থাকলেও স্বাভাবিকের থেকে নিচে রয়েছে তাপমাত্রার পারদ। তার মধ্যে আবার রাজ্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সম্ভাবনা রয়েছে। পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় হালকা বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। খুব সামান্য হলেও তুষারপাতের সম্ভাবনা আছে সিকিম এবং সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায়। এদিকে কলকাতায় এবং অন্যান্য শহরের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা নিম্নগামী। কলকাতায় ভোরের দিকে এবং রাতে বেশ মনোরম পরিবেশ থাকলেও রোদ উঠলে সেই পরিবেশ উধাও। আগামী ২৪ ঘন্টায় শহরের তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে, আবহাওয়া দপ্তর।
উত্তরে হওয়ার কারণে কলকাতার তাপমাত্রা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা এই মুহূর্তে ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে রাতারাতি দুই ডিগ্রি নেমে ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে এসেছে। এই মুহূর্তে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। অন্যদিকে রাতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে নেমে ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম।
পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে সকাল এবং রাত্রে গতকাল থেকে শীত শীত ভাব। আরো পারদ পতনের পূর্বাভাস রয়েছে ১০ নভেম্বর থেকে। তবে ১০ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। রাজ্যে কবে থেকে জাকিয়ে শীত পড়বে তার কোন নিশ্চিত তারিখ না জানা গেলেও নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমার কারণে শুষ্ক আবহাওয়া এবং শীতের আমেজ নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে উপভোগ করতে পারবেন রাজ্যবাসী।