Didi No 1: অবিলম্বে ‘দিদি নম্বর ১’ বন্ধ করে দেওয়ার দাবি উঠেছে, ক্ষুব্ধ এক প্রতিযোগীর প্রাক্তন স্বামী
জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গেম রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’। সেই শুরুর সময় থেকে এখনো পর্যন্ত এই শো এর সঞ্চারিকা হিসেবে দেখা মিলছে টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় প্রথম সারির অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীকে। একটা সময় ওড়িয়া ছবিতেও দেখা মিলতো তার। তবে এই মুহূর্তে অভিনয় জগৎ থেকে দূরে থাকলেও, এই রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমেই সকলের দিদি তিনি। এই মঞ্চে নানা জায়গা থেকে হাজির হন অনেক দিদিরা। সকলেই নিজেদের গল্পের ঝুড়ি নিয়ে উপস্থিত থাকেন এই মঞ্চে। বলাই বাহুল্য, সেই গল্পের ঝুড়িই এই শোয়ের টিআরপি বাড়ার অন্যতম কারণ।
‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে কেউ কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের কষ্ট করে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বলেন। আবার কেউ সবকিছুর মাঝে নিজের অস্তিত্বকে কষ্ট করে টিকিয়ে রাখার গল্প বলেন। পরিস্থিতির চাপে সংসার থেকে বাধ্য হয়ে বেরিয়ে এসে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প শোনান অনেকে। আর সমস্ত প্রতিযোগীদের প্রতিটি গল্প খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন সকলের প্রিয় দিদি। অনেক সময় কান্নায় চোখও ভিজে যায় তার। তবে এবার সেই গল্পের জন্যই ‘দিদি নম্বর ১’ বন্ধের দাবি উঠেছে।
প্রায়ই ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে উপস্থিত দিদিরা যে সমস্ত গল্প শোনান, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় কম ট্রোল হয় না। তবে সেভাবে দেখতে গেলে এই মঞ্চে সবটাই শোনা হয় একতরফাভাবে। অবশ্য তাছাড়া আর উপায়ও নেই। সম্প্রতি বেহালার অরূপ কুমার ভূঁইয়া ‘দিদি নম্বর ১’ বন্ধের দাবি তুলেছেন প্রকাশ্যে।
কয়েকদিন আগে ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে অরূপ কুমার ভূঁইয়ার প্রাক্তন স্ত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি নিজের জীবনের গল্প সকলকে জানিয়েছিলেন। টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়ার দরুন অনেকেরই নজরে এসেছিল তা। তবে সেই এপিসোড সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে ক্ষুব্ধ অরূপ কুমার ভূঁইয়া মুখ খোলেন। তার কথায়, ক্যামেরার সামনে একটি মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে কয়েকটা কথা বলে দিল আর সকলে সেটাই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে নিল, তা চলবে না। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের কথাও শোনা প্রয়োজন। শুধুমাত্র একতরফার কথাই শোনা হয় এই মঞ্চে। আর তার উপর ভিত্তি করেই অবিলম্বে টেলিভিশনের পর্দায় এই রিয়্যালিটি শো বন্ধের দাবি তুলেছেন তিনি। তবে এই প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত রচনা ব্যানার্জী কিংবা চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে কোনরকম সাফাই দিতে শোনা যায়নি।