সমাজকর্মী অতীন্দ্র চক্রবর্তীর দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই মানুষের মাঝে সাময়িক স্টার হয়েছিলেন রানাঘাটের রানু মন্ডল। একটা সময় রানাঘাটের স্টেশনে বসে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন তিনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে যায় বহু মানুষের মাঝে। তৈরি হয় ঠুনকো সম্মানের প্রাচীরও। যার জন্য এখন তিনি আর স্টেশনে বসে ভিক্ষাও করতে পারেন না। প্রতিমুহূর্তে নেটনাগরিকদের অধিকাংশের মাঝে কটাক্ষের শিকারও হতে হয় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাময়িক জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে তিনি আবারো ফিরে এসেছেন তার পুরনো জায়গাতেই।
বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রিয়েটরদের কাছে রানু মন্ডল একজন কমেডি কনটেন্ট হয়ে উঠেছেন। তাকে নিয়ে ভিডিও বানানোর জন্য প্রায়ই বহুজন পৌঁছে যান রানু মন্ডলের রানাঘাটের বাড়িতে। সেখানেই তার অদ্ভুত কান্ডকারখানা গুলোকে ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করে দেন তারা, যা ভাইরাল হয় নিমেষে। এই ভিডিওগুলির সূত্র ধরেই নেটনাগরিকদের একাংশের মাঝে থেকে থেকেই তুমুল কটাক্ষের শিকার হন রানু মন্ডল। তবে এর প্রতিবাদও জানান বহু নেটিজেন। কারণ অনেকের মতে, একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে কখনোই এইভাবে সকলের সামনে অপদস্ত করা উচিৎ নয়।
সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি একজন ভ্লগার নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে শেয়ার করে নিয়েছেন। ‘দ্যা মিডল ক্লাস ভ্লগার’ থেকে রানু মন্ডলের এই ভিডিওটি ১ বছর শেয়ার করে নেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। বর্তমানে যা পৌঁছে গিয়েছে ১৮ লাখ মানুষের কাছে। রানু মন্ডলের কোন ভিডিওই নজর এড়ায় না নেটজনতার। সেকথা অবশ্য আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখছে না। সাম্প্রতিক এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে রানু মন্ডলকে জনপ্রিয়, হিট ও অন্যতম চর্চিত দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা: দ্যা রাইজ’এর ‘শ্রীভাল্লী’ গানের তালে নিজের বাড়ির উঠানেই নাচতে দেখা গিয়েছে। আর সেই ঝলক দেখার পর থেকেই হাসির রোল উঠেছে নেটনাগরিকদের একাংশের মাঝে। আবারো একাংশে কাছে হাসির পাত্র হলেন রানু মন্ডল।