কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে, এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলনে রাজগিয়ে পড়ল রাজধানী দিল্লিতে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে আগামী ৩০ মার্চ মহাসমাবেশ জারি করবে সরকারি কর্মীরা। এর পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন গণ ছুটি নিয়ে শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে মিছিল হবে। সেই মিছিলে হেঁটে আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন শহীদ মিনারের পাদদেশে ধরনা মঞ্চে। অন্যদিকে আবার ১০ এবং ১১ তারিখ দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। এছাড়া আগামী ২৬ তারিখ রাষ্ট্রপতিকে গণহারে ইমেইল করে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বঞ্চনার কথা তুলে ধরবেন রাজ্য সরকারী কর্মীরা। এর একদিন পর, ২৭ মার্চ গণ ইমেইল করা হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। যদি রাজ্য তাতে অচল হয়ে পড়ে তাহলে ও কর্মীরা কোনভাবে তার জন্য দায়ী থাকবেন না।
এদিকে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, মহার্ঘ ভাতা ইস্যু নিয়ে ২৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চ গণহারে টুইট করা হবে এবং ওই টুইটে নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যান্য নেতাদের ট্যাগ করা হবে। সেইসঙ্গে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের ওই টুইটে ট্যাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আবহায়ক। রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার বঞ্চনার বিষয়টি কেন্দ্রের নজরে আনতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পুরো বিষয়টি জানাতে চলেছেন তারা। এছাড়াও তাদের স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হবে।
শুধু তাই নয়, মহার্ঘ ভাতা দাবিতে এবারে লাগাতার কর্মবিরতি এবং ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছেন, লাগাতার ধর্মঘট এবং কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৫৪ দিন ধরে শহীদ মিনারের সামনে ধরনা চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ৪০ দিন ধরে চলছে তাদের অনশন আন্দোলন। সরকারি কর্মীরা জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত সরকার মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, ততদিন পর্যন্ত তারা নিজেদের ধারণা অবস্থান চালিয়ে যাবেন। ক্রমেই তাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তারা।