বড় সুযোগ! এই স্কিমে সবচেয়ে বেশি সুদ পাবেন, মাত্র ২০০ টাকা ইনভেস্ট করে পেয়ে যান ৩৫ লক্ষ টাকা!
বিনিয়োগের জন্য পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ চাকুরিজীবিদের এক অন্যতম পছন্দ। তার পেছনে রয়েছে উচ্চ সুদের হার, রিটার্নের নিশ্চয়তা এবং ট্যাক্সের সুবিধা। বর্তমানে পিপিএফে সুদের হার ৭.৯ শতাংশ যা অন্যান্য কোনও ফিক্সড বিনিয়োগের থেকে বেশি।
পিএফএফের উপর অর্জিত সুদ, বার্ষিক বিনিয়োগ সব কিছুই আয়কর থেকে মুক্ত হয়। ফলে অবসরকালীন সময়, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা, বিয়ে এবং অন্যান্য লং টার্ম বিনিয়োগের জন্য দেশবাসী এখন পিপিএফ-এর ওপরেই ভরসা রাখেন।
২০১৬ সালে এপ্রিল মাসে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড সহ অন্য সেভিংস প্ল্যান সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে প্রতি তিন মাসে সুদের হার নোটিফাই করা হবে। তবে এই বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে সুদের হার না বদলে ৭.৯ শতাংশ রাখা হয়েছে। পিপিএফ অ্যাকাউন্টে বছরের হিসেবে কম্পাউন্ড সুদের হার মাসের হিসেবেই ক্যালকুলেট করা হয়৷ সবচেয়ে বেশি সুদ পেতে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সরকার কীভাবে সুদ জমা করে, তা জানা আবশ্যক।
পিপিএফ অ্যাকাউন্ট বছরে গণনা করা হয় এবং প্রত্যেক বছর ৩১ মার্চ অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট করা হয়৷ পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ১৫ বছর পর ম্যাচিউর হয়৷ পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদ গণনা করা হয় অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ব্যালেন্সের ভিত্তিতে প্রতিমাসের ৫ তারিখ থেকে মাসের শেষের দিনের মধ্যে। অথার্ৎ আপনি যদি পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৫ তারিখের আগে টাকা ডিপোজিট করেন তাহলে সেই মাসে জমা করা টাকার উপর সুদ হিসেব করা হবে। বিস্তারিত বুঝে নেওয়া যাক।
আপনি যদি মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা রাখেন তবে প্রতি মাসের ৫ তারিখের আগে টাকা জমা করলেই সব থেকে বেশি লাভবান হবেন। ধরে নিন গত আর্থিক বছরে আপনার পিপিএফ অ্যাকাউন্টে মোট ব্যালেন্স ১ লক্ষ টাকা ছিল৷ এবারের আর্থিক বছরে ৫ এপ্রিলের আগে ৫০,০০০ টাকা জমা করলে ৩০ এপ্রিলে আপনার ন্যূনতম ব্যালেন্স ১.৫ লক্ষ টাকা হবে৷ ৭.৯ শতাংশ সুদের হিসেবে এই টাকার উপরে আপনি পেয়ে যাবেন ৯৮৮ টাক৷
কিন্তু ৫ এপ্রিলের পর ৫০০০০ টাকা জমা করলে আপনি সেই মাসে পাবেন ৬৫৮ টাকা। কারণ এপ্রিল মাসের ৫ তারিখের পর ৫০০০০ টাকার জমা করার ফলে ১০০০০০ টাকার উপর সুদ হিসেব করা হবে। এই স্কিমে আপনি যদি প্রতিদিন ২০০ টাকা করে বাঁচিয়ে মাসে ৬০০০ টাকা ইনভেস্ট করেন তাহলে এই হিসেবে ২০ বছরে সুদ মিলিয়ে আপনি ৩৫১৬০২১ টাকা পেয়ে যাবেন।
অপরদিকে আপনি যদি বার্ষিক ভিত্তিতে পিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা রাখেন, তবে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে ৫ এপ্রিলের আগে টাকা জমা করছেন, কারণ তাহলেই আপনি সবচেয়ে বেশি সুদ পাবেন।