ব্যারাকপুর রেল ওভার ব্রিজ তৈরি করার দাবিতে সোমবার সকালে ব্যারাকপুর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করলেন নিত্য যাত্রীদের একাংশ। রেল অবরোধের কারণে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন এই শিয়ালদহ মেইন শাখায় আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ব্যস্ততার সময়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। রেলের তরফে এই পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে বটে তবে এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
অবরোধকারীদের দাবি, ২০২০ সালে আমফান ঝড়ে ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের মাঝখানে থাকা ফুট ওভারব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তারপর রেলের তরফ থেকে গোটা ফুট ওভারব্রিজ নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে বলে ফুটব্রিজ ভেঙে দেওয়া হয়। সেই প্রতিশ্রুতির পর দীর্ঘ ৩ বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি বলে দাবি করছেন অবরোধকারীরা। এই ওভারব্রিজ না থাকাই প্রতিদিন নিত্য যাত্রীদের অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করছেন তারা।
সোমবার নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে ফুটওভার ব্রিজের দাবিতে রেল রোকো অভিযান করেন তারা। সেইমত ওই সংগঠনের ব্যারাকপুর শাখার তরফের স্টেশন চত্বরে সকাল আটটা থেকে জমায়েত শুরু করা হয়। ব্যারাকপুর স্টেশন চত্বরে অবরোধকারীদের একটি মিছিল করা হয়। তারা তাদের বক্তব্য রাখেন। এরপরেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল ন’টা নাগাদ ১৪ নম্বর গেটে অবরোধ শুরু করা হয়। রেল পুলিশের আধিকারিকরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। আন্দোলনকারীরা ব্যারাকপুর স্টেশন ম্যানেজার কে এল বিশ্বাসের ঘরের সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ম্যানেজারকে তাদের দাবী জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তারা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অবরোধ তোলার বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রেলের দুইজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য তিনি অবরোধকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। ফুট ওভারব্রিজ এর বিষয়টি রেল গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলেও মন্তব্য করেছেন রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক। তবে এই সমস্ত ভালো কথায়, কতটা চিঁড়ে ভিজবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।