লাদাখ : জম্মু কাশ্মীরকে দ্বিখন্ডিত করা ও আর্টিকেল ৩৭০ এর বিলোপের জেরে লাদেখের রাস্তায় প্রতিবাদ করলো প্রায় শতাধিক মানুষ। প্রসঙ্গত এদিনই অর্থাৎ ৩১ অক্টোবরই ছিল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদেখের পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। লাদাখে হওয়া এই বিক্ষোভের তৃতীয় দিন ছিল এটা। বিক্ষোভকারীরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল এবং ৩১ শে অক্টোবর দিনটিকে তারা চিহ্নিত করেছে ‘কালো দিন’ হিসেবে। কার্গিল এবং দ্রাস শহরের সমস্ত বাজার বন্ধ ছিল এদিন।
গত আগস্টে যখন জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করা হয় তখনই জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে ৩৭০ ধারা নিয়ে দুরকম প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। লাদাখের সবচেয়ে বড় শহর লেহ এর মানুষ সহজেই এই ৩৭০ রদ মেনে নিয়েছিল, কারণ লেহ শহরে বেশিরভাগই বৌদ্ধ ধর্মাম্বলম্বী মানুষ বাস করে, তারা ১৯৪৯ সাল থেকেই লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে দাবি করে আসছিল। কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কার্গিল কখনোই জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেনি।
এই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রধান হলো কার্গিল যৌথ অ্যাকশন কমিটি যা বেশ কয়েকটি সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে গঠিত হয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর ও কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলে তাদের একগুচ্ছ দাবি পেশ করেছে। এই দাবি গুলির মধ্যে স্থানীয়দের চাকরি দেওয়া ও জমি রক্ষা করা, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির নাম ‘লেহ ও কার্গিল’ করা এবং স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য কাউন্সিলকে আইনগত অধিকার দেওয়া অন্তর্ভুক্ত।
কার্গিলের যৌথ অ্যাকশন কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আসগর আলী কারাবালাই বলছেন, “আমাদের জানানো হয়েছিল যে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত ইস্যু সমাধান করা হবে। তবে কিছুই হয়নি। এখন বলছে যে এটি দুই বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।” তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা যে লড়ে যাবেন একথা তারা পরিষ্কারই জানিয়ে দিয়েছেন এদিন।