লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টেক্কা দিতে মোদী সরকারের বড় ঘোষণা, প্রত্যেক মহিলাকে মাসে ৭,০০০ টাকা ভাতা, শুরু হল আবেদন প্রক্রিয়া!
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ইতিমধ্যেই রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা এবং অনগ্রসর শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১,২০০ টাকা ভাতা পান। সাধারণত, এই ভাতা প্রতি মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। বাংলার বহু মহিলা এই টাকার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।
কেন্দ্রের প্রকল্পে মাসে ৭,০০০ টাকা!
এবার সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তুলনায় অনেক বড় সুবিধা নিয়ে এল মোদী সরকারের ‘বীমা সখী’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে প্রতিটি মহিলা মাসে ৭,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা পাবেন! শুধু তাই নয়, প্রত্যেক মাসে মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই টাকা জমা হবে। মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে চালু হওয়া এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই বিপুল সাড়া ফেলেছে। মাত্র এক মাসের মধ্যেই ৫০,০০০-এরও বেশি মহিলা এই স্কিমে নাম নথিভুক্ত করেছেন।
প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা
এলআইসি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৫২,৫১১ জন মহিলা এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন, যার মধ্যে ২৭,৬৯৫ জন বীমা সখীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে এবং ১৪,৫৮৩ জন বীমা সখী ইতিমধ্যেই পলিসি বিক্রি শুরু করেছেন।
যোগ্যতা ও আয় বাড়ানোর সুযোগ
এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে মহিলাদের হতে হবে ১০ম শ্রেণি উত্তীর্ণ এবং বয়স ১৮ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।
প্রথম তিন বছর মহিলারা মাসিক ভাতা পাবেন, যা প্রথম বছরে ৭,০০০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ৬,০০০ টাকা, এবং তৃতীয় বছরে ৫,০০০ টাকা।
এছাড়াও, মহিলারা পলিসি বিক্রির উপর কমিশনও পাবেন, যার মাধ্যমে তাদের আয় আরও বাড়বে।
লক্ষ্যমাত্রা
কেন্দ্রীয় সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে ২ লক্ষ বীমা সখী নিয়োগ করার লক্ষ্য নিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মহিলা স্বনির্ভর হয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।
স্বনির্ভরতার দিকে আরও এক ধাপ
সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, এই প্রকল্প কেবলমাত্র ভাতা প্রদানের জন্য নয়, বরং মহিলাদের স্বনির্ভর ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার জন্য। মহিলারা নিজেদের কাজের মাধ্যমে যেমন উপার্জন করতে পারবেন, তেমনই তাঁদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে।
উপসংহার:
মোদী সরকারের এই ‘বীমা সখী’ প্রকল্প এক দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ, যা শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, মহিলাদের জন্য একটি আত্মনির্ভরশীল ভবিষ্যৎ গড়ার পথও সুগম করবে।
