ঠিক যেন লটারি কাটার মতো ব্যাপার, তবে কেউই কাটেননি লটারির টিকিট। আচমকাই অ্যাকাউন্টে হাজার হাজার টাকা।কারও ২৩ হাজার আবার কারও ৬৫ হাজার।এমন ঘটনাই ঘটেছে দিনহাটা ২ ব্লকের নয়ারহাটের সাবেক ছিটমহল করলা এলাকায়।ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন গোটা অঞ্চল জুড়ে। জানা গেছে, বিগত কয়েকদিনে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে চলে আসছে হাজার হাজার টাকা।
টাকা পেয়েছেন এমন এক বাসিন্দা রানু মিঁয়া বলেন, “রাতে মেসেজ ঢোকার পরের দিন তাড়াতাড়ি ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখি ২৩ হাজার ৭৭১ টাকা ঢুকেছে। তখনই ১০ হাজার তুলে নিই এরপর আবার পরের দিন গিয়ে ১০ হাজার তুলে নিয়েছি। কে টাকা পাঠিয়েছে কে জানে।” আরও এক বৃদ্ধ বাসিন্দা সমিরুদ্দিন টাকা পেয়ে বলেন, “হঠাৎই দেখি আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬৫ হাজার টাকা এসেছে। পরের দিন গিয়েই দশ হাজার তুলে নিয়েছি। কে টাকা দিচ্ছে সেটাই ভাবছি।”
আরও পড়ুন : নিজেদের জেলায় পড়াবেন শিক্ষকেরা, এপ্রিলেই কার্যকর
এরকমই আরেক বাসিন্দা সায়েদ আলি পেয়েছেন ৯ হাজার টাকা। টাকা পেয়ে তিনি বলেন, “শোনা যাচ্ছে কারও কারও অ্যাকাউন্টে এক লাখ টাকাও ঢুকেছে।” এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হামিদুল আলি বলেন, “শোনা যাচ্ছে কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। এক একজন এক একরকম টাকা পেয়েছে। তবে কোথা থেকে যে এতো টাকা এলো তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।” শুধু তাই নয় টাকা না পেয়ে অনেকে তার কাছে এসে বলছেন বলেও তিনি জানান।বাসিন্দাদের দাবী পঞ্চায়েত থেকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।তারা বলেন যে, “বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর কোথা থেকে টাকা এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ব্যাপারটাই হয়েছে অনলাইনে।তবে ব্যাপারটির ওপর যথেষ্ট নজর দেওয়া হয়েছে।”