কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিচালন সমিতির সদস্যদের কলেজের সমস্যার মিমাংসায় বৈঠকের ডাক দেন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ওই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে অপমানজনক বাক্য ব্যবহার করেন।
বৈঠকে বাকি ব্যক্তিদের চা পরিবেশন করা হলেও অধ্যক্ষের প্রতি কোনো ভদ্রতাসূচক ব্যবহার প্রদশর্ন করা হয়নি। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী অধ্যককে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন। সূত্রের খবর, এমন পরিস্থিতির পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় অপমানিত বোধ করেন এবং কাঁদতে কাঁদতে বিকাশ ভবন থেকে বেড়িয়ে যান। এরপর জানা যায়, মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা নেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন বৈশাখী।
আরও পড়ুন : ‘ডরেঙ্গে নেহি, লড়েঙ্গে’, মোদীকে বললেন মমতা
জানা গিয়েছে, বেশ কড়া ভাষায় ইস্তফা পত্র লিখেছেন তিনি এবং তা উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠিয়েও দিয়েছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সহকর্মীদের সুবিধার জন্যই শিক্ষামন্ত্রীর দারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর এরূপ ব্যবহারের পর তিনি নিজেকে অধ্যক্ষ পদে থাকা বলে উচিত বলে মনে করছেন না। এরপরই তার এই সিদ্ধান্ত।