নিউজরাজ্য

জীবনের পরোয়া না করে কর্তব্য করে যাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালকরা

Advertisement

করোনা ভাইরাসের দাপটে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মুহূর্তে নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে কর্তব্য করে যাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।  দিন দিন আতঙ্ক বেড়ে চলেছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার সাথেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রাজ্যে মোট ৪ জন করোনা আক্রান্ত, এই সংখ্যা যাতে হু হু করে বেড়ে না যায় তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার জনতা কার্ফু জারি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ডাকা জনতা কার্ফুতে গোটা দেশ গৃহবন্দী। কিন্তু মানুষকে এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।  রবিবার গোটা কলকাতার রাস্তাঘাট স্তব্ধ,তবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের কর্তব্য করে চলেছেন বিন্দুমাত্র অনু্যোগ না করে।

আরও পড়ুন : ঠিক পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রীর কথা মত চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন সমগ্র ভারতবাসীর

এদিন এই সমস্ত যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বিকেল ৫ টায় দেশ জুড়ে বাজানো হল ঘন্টাধ্বনি, করতালি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সমস্ত সরকারি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে শুক্রবার। রবিবার কার্ফু জারি থাকলেও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মানুষের ভিড় গমগম করছে। বিদেশ থেকে ফিরে কেউ এসেছেন করোনা পরীক্ষা করতে কেউ আবার সর্দি জ্বরের উপসর্গে আতঙ্কিত হয়ে এসেছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। আর রোগীদের নিয়ে আসছে যে সব অ্যাম্বুলেন্স চালক তারাও নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে বৃহত্তর মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে।

বিশ্বজোড়া এই আতঙ্ক থেকে দেশকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা দেশ ও রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার সাথে যুক্ত মানুষদের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে প্রশংসা নয়, বাড়ুক মানুষের সচেতনতা, নিয়ন্ত্রণে আসুক এই মারণ ভাইরাস, সুস্থ থাকুক সকলে এটাই একমাত্র কাম্য চিকিৎসকদের।

Related Articles

Back to top button