শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাসের জন্য কার্যত গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউনের ডাক দেন। যার ফলে অনেক জায়গাতেই অনেকে আটকে পড়েছেন, বিশেষত শ্রমিকরা। যানবাহন কার্যত বন্ধ তাই তারা ফিরতে পারছেন না।
প্রায় একশোর কাছাকাছি শ্রমিক এদিক-ওদিক নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। একসময় তারা কাজের তাগিদে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ২৫ শে মার্চ হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তারা অত্যন্ত বিপদে পড়েছেন। যানবাহনের অভাবের জন্য তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না, আর এইদিকে কোন কাজ নেই তাই টাকা পয়সাও আসছে না। কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা চলছেন।
এইরকম পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে একজন ২৬ বছরের শ্রমিক ১৩৫ কিলোমিটার হেঁটে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে ফিরে আসেন তার বাড়ি চন্দ্রপুরে। শেখলে যিনি পুনের একজন শ্রমিক তিনিও ভেবেছেন এই ভাবেই তিনি তার গ্রামে ফিরে আসবেন। কোন দিক না ভেবে মঙ্গলবারই তিনি বেরিয়ে পড়েন তার গ্রামের উদ্দেশ্যে। বুধবার রাত্রিবেলা একজন পুলিশ তাকে খুব ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখেন শিবাজী স্কয়ারের কাছে যে জায়গাটি নাগপুর থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরে।
পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি উত্তর দেন এই লকডাউনের জন্য তিনি হেঁটে বাড়ি আসবেন এমনটাই সিদ্ধান্ত নেন এবং তিনি গত দুদিন ধরে হেঁটে চলেছেন। পুলিশ ওখান থেকে শেখলে কে তৎক্ষণাৎ একটি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠান। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে তার জন্য খাবারের প্যাকেট পাঠিয়ে দেওয়া হয় তার বাড়িতে। ডাক্তার বাবু তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে ভালো বলার পরই তাকে একটি গাড়িতে করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে শেখলেকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন হয়ে থাকতে হবে।