শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ৫১ বছরের ত্রিপুরার এই রিকশা চালক গৌতম দাসের প্রতিদিনের রোজগার ২০০ টাকা। সংসারের খরচ সামলে জমিয়ে ছিলেন ১০ হাজার টাকা। তার মধ্যে প্রায় ৮ হাজার টাকা দিয়ে তিনি গরীব লোকেদের জন্য চাল-ডাল কিনে দিয়েছেন।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার কাছে সাধুতিল্লা গ্রামে একটি ছোট মাটির বাড়িতে তিনি একাই থাকেন, কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী গত হন। তার সন্তানরা আলাদা থাকেন। অনেকের মতো ২১ দিনের এই লকডাউনের সিদ্ধান্তে তিনিও খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। তার মনে হয়েছিল এর প্রভাব পড়বে গরীব মানুষ এবং দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের উপর, তাই ছোট ছোট প্যাকেটের মধ্যে চাল-ডাল কিনে তিনি গরীবদের মধ্যে বিতরণ করেন। তার রিকশাটি চালিয়ে তিনি প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্যাকেট বিতরণ করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত তিনি ১৬০ টি পরিবারকে খাবার দান করেছেন।
যে মানুষটার নিজের সংসারে এত অভাব, রিক্সা চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান, সেই মানুষটার মন কতটা উদার হলে, তবে একটু একটু করে জমিয়ে রাখা টাকা থেকে ৮০০০ টাকা খরচ করে গরিবদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। এমন মানুষকে স্যালুট জানাতে হয়। এদের দেখলেই মনে হয় পৃথিবীতে ভালো মানুষ ও আছেন,যাদের হয়তো ঈশ্বর অর্থনৈতিকভাবে বড়লোক করেননি কিন্তু মনটাকে বড় করতে ঈশ্বর কোনো কার্পন্য করেননি।