স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে করোনা মোকাবিলায় প্লাজমা থেরাপিও হার মানলো। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ৫৩ বছরের এক রোগী যাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছিল, তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার তার দেহে করোনা থেকে সেরে ওঠা এক রোগীর শরীরের প্লাজমা প্রবেশ করানো হয়। আশা করা হয়েছিল এতে হয়তো তার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। তবে মিললো না ফল। প্রথম দিকে অবস্থার সামান্য উন্নতি ঘটলেও পরে ফের করোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
তবে যেহেতু প্রথমে রোগীর সার্বিক উন্নতি দেখা গিয়েছিল, তাই এই বিষয়ে আশাপ্রকাশ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ। এই রোগীর উন্নতির ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকেও বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলে হয়, “রাজ্যের প্রথম প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগে রোগীর উন্নতি দেখা গেছে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে। শুধু তাই নয় আরও একটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে বিওয়াইএল নাইয়ার হাসপাতালের এক রোগীর ওপর। আশা করা যাচ্ছে এটিও সফল হবে।”
ঠিক এরপরই ওই রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। যদিও এই পদ্ধতি সফল হয়নি তবুও আশা ছাড়তে নারাজ স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর ডক্টর অনুপ কুমার যাদব। তিনি প্লাজমা থেরাপি নিয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সরকারি সূত্রে জানা গেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এর তরফ থেকে এই সপ্তাহেই ৪৫০ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা শুরু হবে।