কৌশিক পোল্ল্যে: বলিউড ইন্ডাস্ট্রি এমনই এক দুনিয়া, যার পরতে পরতে রয়ে গিয়েছে কিছু বিশেষ পুরোনো স্মৃতি যা একসময় একসময় জোর গুঞ্জন তুলেছিল গোট দেশে। বহু বছর পেরিয়ে গেলেও রটনা কিংবা ঘটনা দুইই থেকে যায় ইতিহাসের পাতায়। বহু অপরিনত প্রেমের সাক্ষী এই বলিউড। আজ তেমনই একটি জুটির কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরব, যাদের প্রেমকাহিনী নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা ও গুজব শোনা গেলেও বাস্তবে পরিনতি পায়নি সেই সম্পর্ক।
হিন্দি সিনেমার এই চর্চিত জুটি হল মিঠুন-শ্রীদেবী জুটি। প্রকাশ্যে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনোই মুখ খোলেননি উভয়েই, তবু যা রটে তার খানিকটা তো বটেই। সালটা ১৯৮৭, এই জুটির প্রেমও একেবারে মাখোমাখো পর্যায়ে, এর আগেই একসঙ্গে সেরেছেন একটি ছবির কাজ, সম্ভবত সেখান থেকেই প্রেমকাহিনীর শুরু, এরপর উভয়ের দ্বিতীয় ছবি ‘বতন কে রাখওয়ালে’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন গোপনে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন মিঠুন এমনটা শোনা গিয়েছিল।
সবকিছু ঠিক থাকলেও বাধ সাধলো অন্য জায়গায়। মিঠুন ছিলেন বিবাহিত, বলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী যোগীতা বালির সঙ্গে ১৯৭৯এ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের সন্তানও রয়েছে। কিন্তু মিঠুনের মন সে সময় শ্রীদেবীর জন্য পাগল, ফলে সংসারে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয় এবং দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন যোগীতা, কিন্তু সম্পর্কবিচ্ছেদ করতে তিনি নারাজ ছিলেন।
অন্যদিকে শ্রীদেবী চেয়েছিলেন মিঠুনের একমাত্র স্ত্রী হয়ে থাকতে যেটা কখনই সম্ভব হত না মিঠুনের পক্ষে ফলে উভয়পক্ষের সংঘাত চলতে থাকে। এরপর মিঠুন নিজে থেকেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং যোগীতা বালির কাছে ফিরে যান ও নিজের ভুল স্বীকার করেন। অন্যদিকে শ্রীদেবীও প্রেমের মোহ ভেঙে ১৯৯৬ এ প্রযোজক বনি কাপুরকে বিয়ে করে নেন। এরপর শ্রীদেবী ও মিঠুনের রাস্তা সম্পূর্ন আলাদা হয়ে যায়। তাদের অধরা প্রেমকাহিনী চিরতরে অপূর্নই থেকে যায়।