কৌশিক পোল্ল্যে: ২২ শে নভেম্বর, ১৯৪৮ সালে তিনি তিন বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসাবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। শিশু শ্যামার চরিত্রে এবং ৫০ এর দশকের শেষদিকে ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী হিসাবে কাজ করেছিলেন। চলচ্চিত্রের কোরিওগ্রাফার বি.সোহানলালের কাছে নৃত্য প্রশিক্ষণের পরে, তিনি গীতা মেরা নামে প্রথম ব্রেকটি পান। বছরের পর বছর ধরে সরোজ মাধুরী দীক্ষিত, শ্রীদেবী, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন-এর মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন এবং নিজের সময়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার হয়ে উঠেছিলেন।
ভারতীয় সিনেমা জগতে মাস্টারজি সরোজ খানের অবদান অপূরণীয়। বিগত ৪০ বছরে প্রায় ২০০০ টি অসাধারণ গানকে অভিনেত্রীদের নৃত্যভঙ্গিমায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন এই ডান্স কোরিওগ্রাফার। ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের জননী হিসেবে তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁকে স্মরণ করে তারই নির্দেশিত বেশকিছু ব্লকবাস্টার গানের নৃত্যসৃষ্টি এক ঝলকে দেখে নিন।
১) ধক ধক করনে লাগা: সরোজ নির্দেশিত ‘বেটা’ সিনেমার এই গানটি মাধুরীকে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে এই গানটির জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে মাধুরীর ‘ধক ধক গার্ল’ হিসেবে পরিচিতি পান।
২) ডোলা রে: ‘দেবদাস’ সিনেমার সর্বাধিক জনপ্রিয় ডান্স আইটেম ‘ডোলা রে’ নৃত্য নির্দেশনায় দায়িত্বে ছিলেন সরোজ খান। ঐশ্বর্য রাই এবং মাধুরী দীক্ষিতের মিশেলে এই গানই হয়েছিল তৎকালীন ট্রেন্ডিং।
৩) তাম্মা তাম্মা: ‘থানেদার’ সিনেমার এই গানটি তৎকালীন সময়ে এত বেশি হিট হয়েছিল যে বর্তমানে আলিয়া ভাটের ‘বদ্রি কি দুলহানিয়া’ সিনেমাতে এটির রিক্রিয়েশন করা হয়। এবং ফলাফল হিসেবে সরোজের নির্দেশনা বাজিমাত করে যায়।
৪) হাওয়া হাওয়াই: ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমা শ্রীদেবীর সেই অসাধারণ নৃত্যের কথা মনে পড়ে? এই গানটির নৃত্য নির্দেশনাও করেছিলেন সরোজ যা আজও সুপারহিট।
৫) তাবাহ হো গায়ে: মাধুরী নিজের ক্যারিয়ারে সুখ্যাতির জন্য অনেকাংশেই দায়ী করেন সরোজকে। সে না থাকলে হয়তো মাধুরী এত বড় ডান্সিং সুপারস্টার কখনোই হতে পারতেন না একথা তিনি নিজে স্বীকার করেছেন। মাধুরীর সঙ্গে বেশ সখ্যতা ছিল এই কোরিওগ্রাফারের। ‘তাবাহ হো গায়ে’ গানটি সরোজ-মাধুরী জুটির এক অনবদ্য উপস্থাপন।