অক্সফোর্ডের গবেষণাতে এবার এল সাফল্যের খবর। এই প্রতিষেধকের গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ, এর কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। এমনকি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বা ইমিউনিটি গড়ে তুলতে পেরেছে এই ভ্যাকসিন। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে সফলতা এল। এখন বাকি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল।
সোমবার অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, ChAdOx1 nCoV-19 নামে ওই ভ্যাক্সিন সেফ এবং অ্যান্টিবডি রেসপন্স বাড়াতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন। সোমবারেই এই গবেষণার প্রাথমিক রিপোর্ট আসার কথা ছিল। আর এই রিপোর্টের খবর ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য ল্যান্সেট’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরিসার্চ পেপারে গবেষকরা লিখেছেন যে ChAdOx1 nCoV-19 নামে এই ভ্যাকসিনের কোনও ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ভাইরাস ইমিউনিটি সিস্টেম তৈরী করছে যা বহুদিন শরীরে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে এই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কাজ করেছেন ফার্মা সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা’-র গবেষকরা।
তবে অ্যান্ড্রু পোলার্ড জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস থেকে এই ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত এবং কত দিনের জন্য নিরাপত্তা দিতে পারে, সেই বিষয়ে জানতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। গতবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছিলেন যে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন সবথেকে এগিয়ে আছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট আবার জানিয়েছে, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দেশগুলিতে ২০২০ সালের শেষের দিকে ১ কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা’-র ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।