কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এবং ইডির তত্ত্বাবধানে, সুশান্ত আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে, উঠে এল গভীর ষড়যন্ত্র। মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী ও মহেশ ভাটের গোপন হোয়াটস্যাপ চ্যাট প্রকাশ পেল।ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে যায় ৮ই জুনের হোয়াটস্যাপ চ্যাট।ঠিক তার কয়েকদিন পর অর্থাৎ ১৪ই জুন সুশান্তের দেহ উদ্ধার হয় তাঁর ফ্ল্যাট থেকে।
মেসেজে ছিল কিসের ইঙ্গিত? একি পরোক্ষ মৃত্যুর প্ররোচনা নাকি প্ল্যান মাফিক হত্যার ছক? চলুন দেখে নিই ওই চ্যাটে কী ছিল……রিয়া লেখেন, ‘আয়েশা (জলেবি মুভিতে রিয়ার চরিত্রের নাম) মুভস অন…স্যার, মন ভারাক্রান্ত তবে একটা স্বস্তি’।এরপর রিয়া আরও লেখেন, ‘ আমাদের শেষ (ফোন) কলটা আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে। তুমি আমার স্বর্গদূত,তুমি ছিলে, তুমি আছ এবং তুমিই থাকবে’। আহা, সাধু সাধু এই হল বছর আঠাশের রিয়া চক্রবর্তী ও একাত্তরের মহেশ ভাটের টাইট মেসেজ।
এবারে আসি মহেশ ভাটের জবাবে। ওই দিন মহেশ ভাট রিয়ার মেসের রিপ্লাইতে জানান, ‘পিছন ফিরে তাকিও না। সেটাই সম্ভবপর যা অবশ্যম্ভাবী। আমার অনেক ভালবাসা তোমার বাবাকে।উনি আজ একজন খুব খুশি মানুশ’।এর উত্তরে রিয়া লেখেন, ‘অবশেষে একটু সাহস খুঁজে পেলাম, আর সেইদিন তুমি আমার বাবাকে নিয়ে ফোনে যা বলেছিলে সেটা আমাকে শক্ত হতে সাহায্য করেছে আমার বাবার জন্য। উনিও তোমাকে অনেক ভালবাসা পাঠিয়েছেন, ধন্যবাদ সবসময় এতটা স্পেস্যাল হওয়ার জন্য’।এরপর ডুপ্লিকেটের (১৯৯৮) পরিচালক মহেশ ভাট লেখেন, ‘ তুমি আমার সন্তান।আমার হাল্কা লাগছে’।তিনি এও লেখেন, ‘তুমি সাহসি…তার জন্য ধন্যবাদ’…………
নাহ, এখানেই শেষ হয়নি মেসেজ। এরপর রিয়া প্রত্যুত্তর দেন, ‘ তুমি ফের আমার ডানা মেলতে সাহায্য করলে, একি জীবনে দু’বার ঠিক ভগবানের মতো’।‘ ধন্যবাদ আমার ভাগ্যকে যে তোমার সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দিয়েছে। তুমি ঠিক বলেছ, আমাদের দেখা হওয়াটা এই দিনের জন্যই। কোনও ছবির জন্য নয়, খুব স্পেশ্যাল কিছুর জন্য। তোমার প্রত্যেকটা শব্দ আমার কানে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, আমার মনে তোমার নিঃশর্ত ভালোবাসার একটা গম্ভীর প্রভাব কাজ করে’।
তদন্ত চলছে, প্রতিদিনই উঠে আসছে সুশান্ত আত্মহত্যার নয়া মোড় ।জল এখন কোন দিকে গড়ায় তা দেখার পালা।