উত্তর দিনাজপুর: বিধানসভা নির্বাচন যত রাজ্যে এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে হানাহানি, গোলাগুলি। আর এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরে Noth Dinajpure)। যেখানে সিপিআইএম (CPIM) কর্মীকে মাথায় গুলি করে খুন (Murder) করল আততায়ীরা। সামনে আর কটা মাস। তারপরেই একুশের নির্বাচনের দামামা বেজে উঠবে। যদিও থামছে না রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। বলতে গেলে পেয়ে প্রতিদিনই কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের রক্ত ঝড়ছে। কেউ ভাগ্যের জোরে বেঁচে যাচ্ছেন তো কেউ বা বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন।
এবার ডালখোলা থানার হাসান গ্রামে সিপিআইএম কর্মীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা ৷ সূত্রের খবর, বাইকে করে এসে কয়েকজন আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা ৷ মৃতের নাম গুরুচাঁদ রায় বলে জানা গিয়েছে ৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল রাতে বাড়িতে রান্না করছিলেন গুরুচাঁদবাবু ৷ সেই সময় বাইকে করে দু’জন এসে তাঁকে ডাকতে থাকে । বাড়ি থেকে বের হলেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ ৷ গুলির শব্দ পেয়েই বাড়ির সদস্যরা বেরিয়ে আসেন ৷ যদিও ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে আততায়ীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় ডালখোলা থানার পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা গুরুচাঁদবাবুর মাথায় গুলি করে ৷ ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ কিন্তু ওই হাসপাতালের মর্গে ফরেনসিক ও ভিডিয়োগ্রাফির ব্যবস্থা না থাকায় মৃতদেহটি পাঠানো হয় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে । আরেকদিকে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুর।
দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে রক্তাক্ত হলেন শাসক দলের এক কর্মী। আহত ওই ব্যক্তির নাম লক্ষ্মণ কেয়ট বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত খবর, মঙ্গলবার রাতে দলীয় কার্যালয় থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন লক্ষ্মণ । এরপর সিদুলি এলাকায় হঠাৎই তাঁর পিছু নেয় অপর একটি বাইক। অভিযোগ, সেই বাইকে দু’জন সওয়ার ছিলেন। তাঁরাই এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকেন। অন্যদিকে গুলির আওয়াজে এলাকার স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। ততক্ষণে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে লক্ষ্মণবাবুকে।
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে অণ্ডাল থানার পুলিস। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে তারা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলি তাঁর পিঠে লেগেছে। যদিও কী কারণে এই গুলি তা নিয়ে ধন্দে লক্ষ্মণের পরিবার। এদিকে এখনও অবধি তৃণমূলের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নাকি এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কোন্দল রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।