বিবেকানন্দ থেকে রামমোহন , লোকসভার ভাষণেও বাঙালি মনীষীদের স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার (Rajyasabha) পরে এদিন লোকসভায় (Loksabha) জবাবি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। করোনা (Coronavirus) থেকে শুরু করে কৃষি আইন (Farm Law)। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে উঠে এল একের পর এক প্রসঙ্গ। এদিন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরুর সময়ে স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vibekananda) একটি উক্তি ব্যবহার করেন। এছাড়াও ভাষণের সময়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলার বিভিন্ন মনীষীদের কথাও স্মরণ করেন। এদিন বক্তব্যের মাঝে বিরোধী সাংসদরা হট্টগোল করায় ক্ষোভ প্রকাশও করেন প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভায় বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি ভাষণ শুরু করেন স্বামী বিবেকানন্দের একটি উক্তি নিয়ে। তিনি বলেন, প্রতিটা দেশের একটা বার্তা থাকে। তা পৌঁছতে হবে। প্রতিটা দেশের একটা লক্ষ্য থাকে। সেটা হাসিল করতে হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনাকালের পরে একটা নতুন বিশ্ব তৈরি হতে চলেছে। ভারত কখনও আলাদা হতে পারে না। নতুন বিশ্বে জায়গা পেতে ভারতকে সক্ষম ও আত্মনির্ভর হতে হবে। ভারতকে আত্মনির্ভর করতেই আমরা সকল পদক্ষেপের সঙ্গে এগিয়ে যাব। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, বেদ থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত ‘সর্ব ভবন্তু সুখিনঃ’ ভাবনায় বিশ্বাসী ভারত। করোনাকালে সেই ভূমিকা নিয়েছে দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের কথা ভাবে না কংগ্রেস। কেবল হইহট্টগোল করেই সময় কাটাতে চায় এই দল। একটা বিভ্রান্তিকর দল। রাজা রামমোহন,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সেই সময়ে সমাজেরর ভালোর জন্য কাজ করেছিলেন। কাউকে এই দায়িত্ব তো নিতে হবে। দেশের জনগণ কিন্তু আমাদের কাছে আয়ুষ্মান ভারত চাননি। আমরা সেটা গরিবদের জন্য করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশে পণের বিরুদ্ধে কেউ আইন চায়নি। কিন্তু আইন আনা হয়েছে। শিক্ষার অধিকার কেউ আলাদা করে দাবি করেনি। কিন্তু সেটাও আনা হয়েছে। তিল তালাকের বিরুদ্ধেও কেউ আইন চাননি। কিন্তু সেটা নিয়ে আসা হয়েছে। উন্নয়নশীল সমাজের জন্য এটা খুব জরুরি। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, নয়া কৃষি আইন চালুর পরে কোনও মান্ডি বন্ধ হয়নি। বারবার বিরোধীদের বাধাদান করা এটা এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুনিয়া বদলাচ্ছে কতদিন আমরা না বদলে থাকব।