নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘আমি রাতের পর রাত ঘুমোতে পারিনা, আমার কষ্ট কেউ বুঝতে পারবে না’ : মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তার পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করলেন এই সভা থেকে।

Advertisement

এবারের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের ব্যস্ত। সে তৃণমূল হোক বা বিজেপি। সব রাজনৈতিক দল নিজেদের সমস্ত ভালো দিক তুলে ধরতে ব্যস্ত। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকেই আসছেন তিনি এবারে সব জায়গায় প্রার্থী। তাই এবারে সব রাজনৈতিক এলাকায় সফরে এসে তিনি একই বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বারবার উঠে আসছে জীবনের সংগ্রামের কথা।

অন্যথা হলো না বাঁকুড়ার ইন্ডাসের রাজনৈতিক সভা থেকেও। প্রথম থেকেই তার ওপরে আঘাত আসার শুরু। তাই তার বক্তব্য, “যন্ত্রণায় অনেক রাত আমি ঘুমোতে পারিনা। আমার কষ্ট কেউ বুঝবে না।” এদিন আবারও হুইলচেয়ারে বসেই বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করলেন মমতা।

তবে পায়ের ছোট সত্যিই কি গুরুতর? সেই নিয়ে বারবার কথা শুনতে হচ্ছে মমতাকে। এই নিয়ে এবারে সরব হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন পর্যন্ত তার রাজনৈতিক দলের নানান সৈনিককে এই বক্তব্য করতে শোনা গেছিলো। কিন্তু এবারে বাঁকুড়ার এই সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমার গোড়ালিটা ঘষে ধসে গেছে। আমার শিরাগুলো পর্যন্ত কেটে গেছে। আমি রাতের পর রাত ঘুমোতে পারিনা। আমার কষ্ট কেউ বুঝবে না। আমি রীতিমত জীবন্ত লাশ হয়ে বেচেঁ আছি।” তবে এই সভা থেকেও তাকে বলতে শোনা গেলো বিজেপির বিরুদ্ধে কটাক্ষের সুরেই।

তবে তার নিজের জীবনে তেমন একটা চাহিদা নেই। জঙ্গলমহলে এর আগে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে জমি হারিয়েছিল শাসকদল। তাই এবারে টার্গেট জঙ্গলমহল। এই সভায় গিয়ে মমতা বললেন, “আমার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ২ লক্ষ টাকা মত মাইনে হয়। কিন্তু আমি কিছুই নিই না। আমি অনেক বই লিখি। তাতে যা টাকা ওঠে তা দিয়েই আমার চলে যায়। আমার কোটি কোটি টাকার গাড়ি বাড়ি দরকার নেই। আমি যখন প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হই, তখন আমার বয়স অনেক কম। আমার মা বলেছিলেন, মমতা যেনো মমতাই থাকে।” এদিন এভাবেই নিজের পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Related Articles

Back to top button