নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘পেহলে ইস্তমাল করো, ফির বিশ্বাস করো’, প্রচারে গিয়ে কেনো একথা বলছেন ‘কাজের লোক’ ফিরহাদ?

বন্দর এলাকার ১৯ নম্বর কোল বার্থে প্রচারে গিয়েছিলেন ববি হাকিম

Advertisement

প্রচারে বেরিয়ে কলকাতা বন্দরের ১৯ নম্বর কোল বার্থের এলাকায় বটগাছের নিচে শিব মন্দিরের সান বাঁধানো চাতালের উপর দাঁড়িয়ে বিজ্ঞাপনের বেশকিছু ডায়ালগ বলে গেলেন সেই এলাকার তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ বললেন, “পেহেলে ইস্তেমাল করো, ফির বিশ্বাস করো।” তারপর বললেন, এখন কি মনে হয়, আমার উপর ভরসা করা যায় নাকি যায় না? সমবেত জনতার থেকে আওয়াজ উঠল, “জরুর, জরুর”। ঘড়ি ধরে ঠিক সকাল দশটার সময় ফিরহাদ হাকিম এলাকায় এলেন। তার বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী আওয়াধ কিশোর গুপ্ত।

আগেরবার নির্বাচনে এই আওয়াধ কিশোর পেয়েছিলেন মাত্র ৮ শতাংশ ভোট। তাই হয়তো এই আসনে লড়াইটা তেমন একটা সেয়ানে সেয়ানে নয়। কিন্তু তবুও ফিরহাদ হাকিম বলছেন, “আমি ভোটের মুখে লোক দেখানো বিধায়ক নই। তবু ভোটের সময়টার একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। আমি দুবারের বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী। মানুষ কেন তৃতীয় বারের জন্য আমার ওপরই ভরসা রাখবেন, তার জবাব দেবার দায়ী কিন্তু আমার নিজের।” পাশাপাশি যারা দল বদল করে অন্য দলে গিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য আক্রমণ করেছেন ফিরহাদ হাকিম। দলের অন্দরে খবর, এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করে তৃণমূল তাহলে হয়তো ফিরহাদ হাকিম সামনের সারিতে আসতে চলেছেন। ফলে, বিরোধীরা যাই বলুক না কেন ফিরহাদ হাকিমের হাত আরও শক্ত হচ্ছে বলেই জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্লোগান খেলা হবে, খেলা হবে গাইতে গাইতে ফিরহাদ হাকিম ঢুকে পড়লেন বন্দর বস্তির অলিগলিতে। সেখানে গিয়ে বিলি করলেন বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি এবং উর্দুতে লেখা বেশ কিছু লিফলেট। সেখানে লেখা গত ১০ বছরে তৃণমূলের উন্নয়নের খতিয়ান। এলাকার রামনগর মোড় থেকে কাঁটাপুকুর পর্যন্ত উড়ালপুল, ইকবালপুর সরকারি মহিলা কলেজ, মাতৃ সদন হাসপাতালকে এসএসকেএমের এনেক্স হিসেবে গড়ে তোলা সহ আরো অনেক কাজ। এলাকার বহু ব্যবসায়ী বলছেন, “তৃণমূল করো, কি বিজেপি করো। মানতে হবে ববিদা কাজ করেছেন।”

তবে ফিরহাদ হাকিম এর সামনে এখন সবথেকে বড় সমস্যা হল এলাকার জমা জল। বিজেপি প্রার্থী আওয়াধের প্রধান অস্ত্র হলো এটাই। খোলামুখ ড্রেন, কাঁচা নর্দমা এই সমস্যাটা কিন্তু রয়েছে খিদিরপুর সহ পুরো বন্দর এলাকায়। সকলেই বলছেন, কাজ হয়েছে অনেক কিন্তু জল জমার সমস্যাটা মুক্তি হওয়া দরকার। আর এই জল জমার সমস্যা নিয়েই বারবার বিজেপি বিধেছে তৃণমূলকে। তাদের মূল অভিযোগ যদি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রহণ করা হতো তাহলে শৌচাগার এবং জল নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা হতো না। আর তখনই চলে আসে ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রসঙ্গ। জবাবে তৃণমূলের দাবি, জমিয়ে বন্দর কর্তাদের সঙ্গে অসহযোগিতার কারণে রাজ্য সরকারের আবাস যোজনার কাজ সম্ভব হয়নি। এলাকায় কাজ হলেও শুধুমাত্র জল নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা তুলে ধরে কি বৈতরণী পার হবে বিজেপির? উত্তরটা দেবে সময়।

Related Articles

Back to top button