‘আমাকেও গ্রেফতার করুন’, CBI-এর ওপর চাপ বাড়ালেন মমতা
তৃণমূলের তিনজন হেভিওয়েট নেতা গ্রেফতার হবার পরে নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে পৌছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে সকালেই তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজন নেতা এবং একজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কথা বললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের সঙ্গে। তার সঙ্গে তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজাম প্যালেসে যাওয়ার আগে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি সেখানে গিয়ে তার বাড়ির সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর নিজাম প্যালেস এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সকাল ১০.৪৫ এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই সদর দপ্তরে গিয়ে পৌঁছান। তারপর সেখানকার অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন। তারপর সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসেন আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট করে দিয়েছেন যদি ফিরহাদ সুব্রত এবং মদনকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে তাকেও গ্রেপ্তার করতে হবে।
ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআই সম্পূর্ণরূপে বিজেপির কথায় উঠছে বসছে বলেও অভিমত অনেকের। নিজাম প্যালেস এর বাইরে ভিড় জমিয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। পথে শুয়ে প্রতিবাদ করছেন তারা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি মারধর চলছে।
তাদের গলায় একটাই দাবি, যদি এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে মুকুল এবং শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? তাদের দুজনকে যদি গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে “বাংলায় আগুন জ্বলবে”। অন্যদিকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন, এই গ্রেপ্তারি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।”