জীবনযাপন

অফিসের সারাদিনের কাজের চাপ সামলাতে পারছেন না? সমস্যা সমাধানের জন্য রইলো কিছু টিপস

Advertisement

ভারতবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, প্রিয়া দাস : অফিসে কোনো কারণে দীর্ঘদিন ছুটি থাকার পর কাজের চাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই সময়ই চাকুরীজীবীদের দম ফেলার সময় থাকেনা। একজন চাকুরীজীবী খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিষ্ঠান এর স্বার্থে তাকে তার সবটুকু দিয়ে কাজ করতে হয়। পাশাপাশি ব্যক্তিগত দিকে তাকে খেয়াল রাখতে হয়। তবুও কর্মক্ষেত্রে তাকে এমন কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হতে হয় যা তার উদ্বেগের কারণ হয়।

একজন চাকুরিজীবীর ক্ষেত্রে তার কাজের মান কমে যেতে পারে নানা কারণে ।সে কারণগুলি হল সাধারণত অফিসের সকলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকলে, কোন প্রত্যাশা স্পষ্ট না থাকলে, কোন নিয়ম নীতি ঠিকভাবে না থাকলে তার কর্ম ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আপনার সহকর্মী, জুনিয়র কিংবা সিনিয়র ব্যাক্তিদের সঙ্গে যদি আপনার ঠিকঠাক যোগাযোগ না থাকে তাহলে আপনার কাজের তৃপ্তি কমে যেতে পারে।
হিন্দুস্থান টাইমসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে কাজের উদ্বেগ কমানোর নিচে কিছু টিপস দেওয়া হয়েছে–

সংযোগ ও সম্পর্ক গড়ে তুলুন–

আপনি যেখানে কাজ করছেন সেই কর্ম ক্ষেত্রে আপনার চারপাশের মানুষদের সম্পর্কে জেনে নিন। এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো রাখার চেষ্টা করুন। তারা যখন উপস্থিত হচ্ছে সম্ভব হলে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন ।এবং যেকোনো সমস্যায় তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। একইসঙ্গে অফিসে কারো সম্পর্কে গোপনে কারো ব্যাপারে কোন কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন এবং পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করুন।

স্পষ্ট হন–

কোন ব্যাপারে আপনার যদি কোন কিছু না জানা থাকে তবে তা জানতে চাইতে দ্বিধা করবেন না। এটিকে নিজের জ্ঞানের অভাব হিসেবে দেখবেন না। সহকর্মীদের প্রতি আপনার কি কি দায়িত্ব আছে এবং প্রতিষ্ঠান আপনার কাছে কি কি প্রত্যাশা করে সে সম্পর্কে জেনে নিন। আপনার কর্তব্য গুলি কে পালন করার চেষ্টা করুন।

বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন–

কোন অবাস্তব প্রত্যাশার প্রতি আকর্ষিত না হয়ে নিজের বাস্তবসম্মত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলুন ।এবং একটি রুটিন করে তা মেনে চলার চেষ্টা করুন। এটি আপনার উদ্বেগকে অনেক কমিয়ে দেবে।

এই সবগুলি মেনে চলার পরও যদি আপনার তীব্র উদ্বেগে না কমে এবং তা আপনার সম্পর্ক বা ঘুমে প্রভাব ফেলে তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিন।

Related Articles

Back to top button