নিউজরাজ্য

Reopen School in West Bengal: আগামী মাসে স্কুল খুলছে বাংলায়, মানতে হবে এই শর্তগুলি

Advertisement

করোনার জন্য প্রায় দুবছর স্কুল কলেজ বন্ধ। এই দুবছরে শিক্ষা ব্যবস্থার অনেকটা তলানিতে চলে এসেছে। তবে আর না। আগামী মাসেই খুলতে চলেছে স্কুল কলেজ। ১৫ই নভেম্বর স্কুল-কলেজ খোলার জন্যে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে মুখ্য সচিবকে। করোনা পরিস্থিতি ততদিন ঠিক থাকলে, এই বিষয়ে শিলমোহর দেবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যে ১৫ই নভেম্বরের পর রাজ্যে স্কুল কী ভাবে খোলা হবে তা নিয়ে কার্যত এক প্রকার প্রস্তুতি শুরু ফেলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। জানা যাচ্ছে, এক দিনে একই সঙ্গে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সব ছাত্র ছাত্রীদের আনতে চাইছে না রাজ্য সরকার। কোভিডের কথা মাথায় রেখে এক একটি ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ধার্য করে দেওয়া হবে। এটি করা হলে প্রত্যেকটি স্কুলে একই সঙ্গে একাধিক ছাত্র-ছাত্রীর জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

পাশাপাশি সকল ছাত্র ছাত্রীর কথা ভেবে একাধিক ক্লাসরুম করা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করার জন্য। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে এক একটি ক্লাসের জন্য ক্লাস রুমের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

কি কি রাজ্য ভেবেছে তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

১) একসাথে নয় বরং ধাপে ধাপে স্কুলে আনা হবে প্রতিটি শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের। অর্থাৎ নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের যে সময় দেওয়া হবে সেই সময়ই দশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হবে না। অর্থাৎ এক একটি ক্লাসের সময়সীমা একেক রকম থাকবে৷ আর এর জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষকও থাকবে যাতে ছাত্র-ছাত্রীর পঠন পাঠনের কোনও সমস্যা না হয়।

২) এক একটি ক্লাস রুমে খুব কম সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস হবে। যাতে ক্লাসরুম গুলিতে ছাত্র ছাত্রীদের বেশি জমায়াতে না হতে পারেয। এবার থেকে প্রত্যেকটি বেঞ্চে একজন করেই ছাত্র-ছাত্রী বসাতে চাইছে। এক একটি ক্লাসের এবার থেকে একাধিক সেকশন থাকে। যাতে একটি ক্লাসে ভিড় বেশি না হয়।

৩) যে সব ছাত্র ছাত্রী স্কুলে এসে ক্লাস করবে সেই সব অভিভাবকদের থেকে সম্মতি নিয়ে স্কুলে আসতে হবে।

৪) যে অংশগুলির ওপর নির্ভর করে ছাত্র -ছাত্রীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সেই অংশগুলি আগে পড়ানো হবে। এর আগে নির্দিষ্ট করে নির্দেশিকা জারি করতে পারে দুই বোর্ড।

৫) ইতিমধ্যেই শিক্ষা দপ্তর প্রতিটি স্কুলের সমস্ত ক্লাসরুম গুলি মেরামত-সহ স্যানিটাইজেশন এর কাজ শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকল পড়ুয়ারা করনা বিধি মানছে না কি সেই বিষয়েও নজরদারির জন্য প্রত্যেকটি স্কুলে দায়িত্ব দেওয়া হবে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

আপাতত বলা যেতেই পারে কড়া কোভিড নিয়ম কানুন মেনেই আগামো মাসে রাজ্যের স্কুল চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহের শেষে মুখ্য সচিব এই বিষয় নিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন।

Related Articles

Back to top button