রাজ্যে ইতিমধ্যে পেট্রোল–ডিজেল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। আর এই ডিজেল পেট্রোলের দামেতে বাসের চাকা ঘোরাতে হিমসিম খাচ্ছে বাস মালিকেরা। বাসমালিকদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে বাস ভাড়া না বাড়লে অচিরেই ফের বাসের চাকা বন্ধ হয়ে যাবে। এর উপর দীর্ঘ দিন লকডাউন থাকা এবং করোনা বিধিনিষেধের জেরে হিমশিম অবস্থা তাঁদের। বর্তমানে কলকাতায় ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। আর তাতেই বেসরকারি বাস বিপাকে পড়েছে।
আর এই একই ভাড়ায় এভাবে দিনের পর দিন কোনোভাবে টানা সম্ভব নয় তাই পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন বাস–মালিক সংগঠনের কর্তারা। আর এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৮ জুনের পর পশ্চিমবঙ্গে বাস ভাড়া বাড়েনি। আর সেখানে লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম। তাতেই হিমসিম খাচ্ছেন বাস–মালিকরা। অনেক বাস মালিক রাস্তায় নামানো পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন।
শুধু বেসরকারি না সরকারি বাসের উপরও চাপ পড়েছে। কারণ এরাও লোকসান মেনে নিয়ে তারা কতদিন বাস চালাতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আত বেসরকারি বাস–মালিকদের সাফ কথা ভাড়া না বাড়লে বাস বন্ধ পুরোপুরি হয়ে যাবে। এহেন পরিস্থিতিতে ভাঁইফোটার পর পরক বাস–মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘পেট্রোল–ডিজেলের দাম বাড়ছে। তাতে বাস–মালিকদের সত্যিই সমস্যা হচ্ছে। এইদিকটা দেখতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভাঁইফোটার পর বাস–মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসব।’
বেসরকারি বাস–মালিকরা এদিন দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ভাড়া বাড়াতে হবে। সরকারি দেওয়া ভর্তুকিতে তাদের সমস্যা মিটছে না। এখন অনেকের প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী সত্যি বাস ভাড়া বাড়বে? এই সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘বাস–মালিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।’
আর এই ভাড়া–বৃদ্ধি নিয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাস তো আর জলে চলে না। পেট্রোল–ডিজেলের এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়।’ বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সমস্ত দাবি জানাবেন ভাইফোঁটা মিটলে। কোমর বেঁধে তাঁরাও নামবেন বলে জানিয়েছেন।