নিউজরাজ্য

Weather Today: শহরে বাড়বে ভ্যাপসা গরম, তবে বেলা গড়ালেই বৃষ্টিতে ভিজবে রাজ্যের এই ৫ জেলা

দুর্বল মৌসুমি বায়ুর কারণে মূলত জুন মাস থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে

Advertisement

শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহেও ভারী বৃষ্টির তেমন কোনো পূর্বাভাস নেই দক্ষিণবঙ্গে। বলা যেতে পারে, বৃষ্টির ঘাটতিতে ভ্যাপসা গরমে রীতিমতো নাজেহাল পরিস্থিতি গোটা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। সকাল থেকে আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও, দিনের শেষে দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টি হচ্ছে যাতে তাপমাত্রার পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। কলকাতাসহ সংলগ্ন এলাকাতে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি আরো প্রকট হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ বুধবার কলকাতা এবং আশেপাশের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার জেরে তাপমাত্রা আরেকটু বেড়ে যেতে পারে।

আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আদ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ২.২ মিলিমিটার। যদিও গতকাল উত্তর কলকাতায় প্রায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি তেমন না হলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে যে আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে পশ্চিমের দিকের জেলা যেমন বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও পুরুলিয়ায় দু এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখনো পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৪৭ শতাংশ। মূলত দুর্বল মৌসুমী বায়ু থাকার কারণে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে জুন মাস থেকে। সেই ঘাটতি পূরণ হওয়া তো দূরের কথা, বরং ক্রমশ বেড়েছে। দক্ষিণবঙ্গের ঘাটতি দেখা গেলেও উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে।

আজকেও কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত এখন আগামী তিন দিন উত্তরবঙ্গ ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে। জানিয়ে রাখি, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গেলেও উত্তরবঙ্গে আপাতত স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

Related Articles

Back to top button