ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : নিজেকে আবেদনময় দেখাতে কে না চায়! কিন্তু নিজেকে যৌন আবেদনময় হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে কিছু পুরুষ হারাচ্ছেন নিজের পুরুষত্ব বা সহজভাবে বললে বাবা হওয়ার ক্ষমতা। সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অত্যন্ত পুরুষালী হিসেবে পরিচিত পুরুষেরা অনেক সময়ই নিজেকে আরো ‘যৌন আবেদনময় ও পুরুষ-দীপ্ত’ হিসেবে তুলে ধরতে গিয়ে যেসমস্ত কৃত্রিম পদ্ধতির সাহায্য নেন, তা কেড়ে নিচ্ছে তাদের পুরুষত্ব।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরকে পেশিবহুল করতে গিয়ে পুরুষরা যেসব স্টেরয়েড ব্যবহার করছেন তা কমিয়ে দিচ্ছে তাদের শুক্রাণু। এছাড়া মাথার চুল কমে যাওয়া ঠেকাতে অর্থাৎ টাক হয়ে যাওয়া রোধ করতে গিয়ে যেসব চিকিৎসা নেন পুরুষরা তাও কমাচ্ছে তাদের শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেমস মোসাম তার লেখা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, তার কাছে নিজেদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা পরীক্ষা করাতে আসা পুরুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এবং তিনি এই সমস্ত পুরুষদের মধ্যে দেখেছেন, এদের প্রায় সবার মধ্যেই স্টেরয়েডের অতি ব্যবহার ছিল একটি সাধারণ বিষয়। তারা সবাই পেশীবহুল শরীর তৈরি এবং মাথায় কৃত্রিম উপায়ে চুল বাড়ানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করেছেন। এর ফলে তাদের শুক্রাণু সংখ্যা এত কমে যায় যে তারা একেবারেই সন্তান উৎপাদন করতে পারছিলেন না। তিনি আরও বলেছেন, এর ফলে একজন পুরুষ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন।
যে পুরুষ নারীকে আকর্ষণ করার জন্যই জিমে যাচ্ছেন, স্টেরয়েড নিচ্ছেন, কিন্তু শেষ বিচারে তাই তাকে পুরুষত্বহীন করে দিচ্ছে।’ একমাত্র সচেতনতাই এক্ষেত্রে একমাত্র পথ বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।