উত্তরবঙ্গ এবং সুন্দরবনের কথা বাদ দিলে সমুদ্র সৈকতের নিরিখে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় একটি ভ্রমস্থল হল দীঘা। তাইতো ছোটখাটো ছুটি পেলেই পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বাঙালিরা সময় কাটাতে পৌঁছে যান দিঘার সমুদ্র সৈকতে। পশ্চিমবঙ্গের বুকে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতের উন্নতির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই নানা নতুন প্রজেক্ট শুরু করেছিল মমতা সরকার। এরইমধ্যে গত বুধবার দীঘার উন্নয়ন যজ্ঞে এক মাইলফলক স্পর্শ করল রাজ্য সরকার। মুম্বাইয়ের ধাঁচে এবার দিঘাতেও তৈরি হল ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ যা সংযোগ করেছে দীঘা, তাজপুর মন্দারমনি ও শংকরপুরকে।
গত বুধবার মুম্বাইয়ের ধাঁচে তৈরি এই মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উদ্বোধন করতে গিয়ে জানান যে দীঘা এখন আন্তর্জাতিক টুরিস্ট স্পট। এই ২৬ কিলোমিটার লম্বা মেরিন ড্রাইভ ধাঁচে তৈরি রাস্তার নাম রাখা হয়েছে “সৈকত সুন্দরী”। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার তমলুকের একটি প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি সৈকত সুন্দরীর উদ্বোধন করতে যান। উদ্বোধন করার পর তিনি বলেছেন, “সবাই যাতে আসতে পারেন, তাই পুজোর আগেই উদ্বোধন করে দিলাম। দিঘা এখন আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট স্পট (হয়ে গিয়েছে)।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দীঘা থেকে কাঁথি পর্যন্ত এই সৈকত সুন্দরী রাস্তার প্রস্তাব আনা হয়। ‘সৈকত সুন্দরী’-র দৈর্ঘ্য ২৬ কিলোমিটার। যে রাস্তা দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি এবং শংকরপুরকে একসুতোয় বেঁধে দিয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহান্ত বা ছুটির সময় সড়কপথে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি এবং শংকরপুরে ঘুরতে যাওয়া আরও সহজ হয়ে গেল। এই রাস্তা তৈরি করতে মোট ১৭৩ কোটি খরচ পড়েছে। তার মধ্যে তিনটি সেতু নির্মাণেই ১৬৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। একটি সেতু আছে জলদায়, একটি আছে সৌলায় এবং একটি সেতু ন্যায়কালীতে আছে। বাকি অংশের রাস্তা তৈরি এবং অন্যান্য কাজের জন্য ১০ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে।