বর্তমানে মূল্যস্ফীতি আকাশ ছোঁয়ার দিকে রয়েছে। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ছে। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি ডালের দামও আকাশছোঁয়া। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এ বছর ডালের দামও রেকর্ড ভেঙেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে ‘ভারত মুসুর ডাল’ চালু করার পরিকল্পনা করছে সরকার। নির্বাচনী বছরে সরকারের পক্ষ থেকে এই উপহার দেওয়ার উদ্দেশ্য হল সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির হার কমিয়ে আনা। বর্তমানে বাজারে এক কেজি মসুর ডালের দাম ১২৫ টাকা। অন্যদিকে মসুর ডালের সর্বভারতীয় গড় খুচরো মূল্য প্রতি কেজি ৯৩.৫ টাকার কাছাকাছি। তবে সরকার কম দামে মসুর ডাল বিক্রি করবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডাল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারের এই প্রকল্প সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ২৫ হাজার টন ডাল প্রক্রিয়াজাত করে প্যাকেটজাত করবে নাফেড ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং (নাফেড) এবং এনসিসিএফ। এরপর কেন্দ্রীয় ভান্ডারের মাধ্যমে সারা দেশে ডাল বিতরণ করা হবে। চানা ডালের মতো ভারত মসুর ডালও বাজারে পাওয়া যাবে গ্রাহকদের জন্য। ভারত সরকার কোনও ছাড় ছাড়াই প্রতি কেজি মসুর ডাল ৮৯ টাকা দরে বিক্রি করবে।

এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমলেও এবং সরকারি মজুদে প্রচুর পরিমাণে মসুর ডাল থাকলেও এর দাম বেড়েছে। বর্তমানে সরকারি মজুদে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার টন মসুর ডাল মজুদ রয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডাল বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ক্যালেন্ডার বছরে ভারত প্রায় ৩.১ লিয়ন টন ডাল আমদানি করেছে। এর মধ্যে অর্ধেক মসুর ডাল এসেছে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র এনএফইডি, এনসিসিএফ এবং কেন্দ্রীয় ভান্ডারের মাধ্যমে ভারত চাল প্রতি কেজি ২৯ টাকা, আটা প্রতি কেজি ২৭.৫০ টাকা এবং চানা ডাল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। ২০২৩ সালে স্বাধীনতা দিবসে মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর মূল্যস্ফীতি কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।














Leonardo DiCaprio Shocks Fans by Naming The Dark Knight His Top Nolan Film