রাজ্যে মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জনপ্রিয় সমাজকল্যাণ প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জুন মাসেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বর্তমানে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা পান, আর তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য এই পরিমাণ ১,২০০ টাকা। তবে এবার রাজ্য সরকার এই পরিমাণ ৫০০ টাকা করে বাড়ানোর কথা ভাবছে। ফলে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা পেতে পারেন ১,৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা পেতে পারেন ১,৮০০ টাকা মাসিক অনুদান।
এই সিদ্ধান্তে লক্ষ লক্ষ মহিলার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি তরফে কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি, তবে সরকারি মহলে আলোচনার তীব্রতা থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে আর দেরি নেই।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, জুন মাসেই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত মত দিতে পারেন। এর আগে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু থাকবে অনির্দিষ্টকালের জন্য।” ফলে সাধারণ মানুষ এই প্রকল্প নিয়ে যথেষ্ট আস্থা রাখছেন।
তবে এই সম্ভাব্য বৃদ্ধির খবরে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে খুশি হলেও, কেউ কেউ বলছেন, “সরকারি ঘোষণার আগে বিশ্বাস হচ্ছে না।” তবুও অধিকাংশ উপভোক্তা মনে করছেন, এই অতিরিক্ত অর্থ তাঁদের সংসারে কিছুটা স্বস্তি আনবে, বিশেষ করে মূল্যবৃদ্ধির এই সময়ে।
FAQ: সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ও উত্তর
১. বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হয়?
সাধারণ মহিলারা পান ১,০০০ টাকা এবং SC/ST মহিলারা পান ১,২০০ টাকা।
২. প্রকল্পের পরিমাণ কত টাকা বাড়তে পারে?
সরকার ৫০০ টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
৩. নতুন অনুদান কবে থেকে চালু হতে পারে?
জুন মাসে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
৪. এই প্রকল্প কি বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে?
না, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রকল্প অনির্দিষ্টকালের জন্য চালু থাকবে।
৫. উপভোক্তারা এই প্রকল্পে কী ধরনের প্রভাব অনুভব করছেন?
বেশিরভাগ মহিলা এই প্রকল্পে স্বস্তি পাচ্ছেন এবং আত্মনির্ভরতা অনুভব করছেন।
