ঘূর্ণিঝড় কি আদৌ আসছে? কালী পূজার আগে এই চিন্তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সকলের মাথার মধ্যে। এই প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবার কোন খবর আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়নি। যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবার কোন সম্ভাবনা থাকে তাহলে আগেভাগেই তা অফিসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং সেই মতো সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এই একই কথা জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গনেশ কুমার দাস। তিনি বলছেন, যদি কোন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবার আশঙ্কা থাকে তাহলে তা উপযুক্ত সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে কোন পূর্বভাস জারি করা হয়নি।
তবে এটি মার্কিন মডেলের দাবি করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে অর্থাৎ কালী পূজার আশেপাশে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারের বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশের মধ্যে যে কোন জায়গায় কোন একটি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে এই মার্কিন মডেল আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আবহাওয়াবিদদের মধ্যেই।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যে মার্কিন মডেলের ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হয়েছে সেটির ক্ষেত্রে অতীতে একাধিকবার পূর্বাভাস মেলেনি। বরং দক্ষিণ এশিয়ার আবহাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় মডেল অনেক বেশি কার্যকরী হয় এবং তাদের সঠিক পূর্বাভাস পাওয়া যায়। যা ঘূর্ণিঝড় আমফান এবং যশের সময় দেখা গিয়েছিল। এই কারণেই মার্কিন মডেলের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন বিশেষ কারণ নেই। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখনই যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে সেটা বলা যায় না। ঘূর্ণিঝড় যে একেবারেই হবে না সেটাও বলা যাচ্ছে না। তবে ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফ স্পষ্টভাবে কোন সতর্কতা জারি না করা পর্যন্ত অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।