আজকাল শেষমুহূর্তে ট্রেনের টিকিট পাওয়া অসম্ভব হয়ে পরে। কিন্তু আপনি যদি আগে থাকতে টিকিট না কেটে থাকেন, তাহলে আপনার কাছে এখন একমাত্র উপায় তৎকালে টিকিট কাটা। এছাড়া বিশেষ অফিশিয়াল কাজে বা এমার্জেন্সিতে দূরে কোথাও যেতে হলে ভরসা একমাত্র এই তৎকাল টিকিট। আবার দেশে উৎসবের মরসুম চলছে। ছট এবং দীপাবলির সময়, লোকেরা প্রচুর সংখ্যায় তাদের বাড়িতে যাচ্ছে। মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হল ভারতীয় রেলওয়ে। যাত্রীদের ভিড় এতটাই যে টিকিট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর জন্য লোকেরা তৎকাল টিকিট নেয়। এখন প্রিমিয়াম তৎকাল নামেও একটি বিকল্প রয়েছে।
কি এই প্রিমিয়াম তৎকাল? এটা কি সাধারণ তৎকালের চেয়ে আলাদা? অনেকেই এই বিষয় সম্পর্কে অবগত নয়। তাদের জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন। তৎকাল হল এমন একটি মাধ্যম যাতে শেষমুহূর্তে আপনার কনফার্ম টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রিমিয়াম তৎকাল কোটায় বুকিংও তৎকালের মতো এবং এর বুকিংও তৎকালের মতোই একদিন আগে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়৷ এসি ক্লাসের টিকিটের বুকিং সকাল ১০টায় শুরু হয়, কিন্তু নন-এসি ক্লাসের টিকিটের বুকিং শুরু হয় সকাল ১১টায়। তবে ফারাক কোথায়? জানতে এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
তৎকাল টিকিটের দাম স্থির থাকে এবং কিলোমিটার বা শ্রেণি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও প্রিমিয়াম তৎকাল বিভাগে ভাড়া ডাইনামিক হয়। যদি টিকিটের চাহিদা থাকে তবে টিকিটের রেট খুব বেশি হবে এবং রেট তৎকালের চেয়েও বেশি হবে। এই টিকিটটি শুধুমাত্র IRCTC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বুক করা যেতে পারে, তবে IRCTC ছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট থেকেও তৎকাল টিকিট বুক করা যেতে পারে। এছাড়া তৎকাল টিকিট অনেক তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে, প্রিমিয়াম তৎকালের টিকিট অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে পাওয়া যায়। তাই এই প্রিমিয়াম তৎকালে টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।