দেশের বিভিন্ন জায়গাতে উড়ান পরিষেবা শুরু হলেও সোমবার ২৫ মে কলকাতা থেকে দেশীয় উড়ান শুরু করতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার নবান্নে জানিয়েছেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা ৩০ মে চালু করলে রাজ্যের পক্ষে ভালো হবে। তবে তিনি এটাও বলেন যে বাগডোগরা থেকে ২৮ মে চালু করা যেতে পারে। কেন্দ্রকে এই প্রসঙ্গে তিনি অনুরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে।
সারা দেশব্যাপী উড়ান সংস্থাগুলি ২৫ মে থেকে উড়ান পরিষেবা চালু করা হবে বলে ইতিমিধ্যেই নতুন উড়ান সূচি বানিয়ে ফেলেছে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর অনুযায়ী ২৫ মে থেকে প্রতি দিন ৮০টি উড়ান কলকাতায় নামবে। প্রত্যেক উড়ানে গড়ে ১০০ জন যাত্রী থাকলে প্রতিদিন ৮ হাজার যাত্রী অন্য জায়গা থেকে কলকাতায় আসবেন। প্রতি দিন এত সংখ্যক যাত্রীকে সরকারি কোয়ারেন্টিনে পাঠানো রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়।
সেই সমস্ত যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, এমনটাই সূত্রের খবর। তবে সেই সমস্ত যাত্রীরা নিয়মকানুন মানবে কিনা সেটা জানা নেই। এতো সংখ্যক মানুষের উপর সরকারি নজরদারি চালানো সম্ভব না। কলকাতা, বাগডোগরা এবং দুর্গাপুরের ক্ষেত্রে শহরে নামা যাত্রীদের প্রথমে থার্মাল স্ক্রিনিং করার কথা। এ ছাড়াও কলকাতার ক্ষেত্রে যাত্রীকে একটি ফর্ম পূরণ করার কথাও বলা হতে পারে বলে জানা গেছে। সেই ফর্মে যাত্রীদের নিজের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি উড়ান সংস্থাকেও পুরো যাত্রী তালিকা এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে সোমবার থেকে দেশীয় উড়ান চালানো নিয়ে আপত্তি করা হয়েছে। কর্ণাটক সরকার ও কেরল এবং অসম সরকার অন্য জায়গা থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে চায়। তামিলনাড়ু সরকার জানিয়েছে গণ পরিবহণ চালু না হওয়াতে বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা হবে।