অবশেষে রাজ্যের কথা মেনে নিয়ে অনেক বিচার বিবেচনা করে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে সরকারিভাবে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বা কোন রুটে কত ট্রেন চলবে তা সবিস্তারে জানিয়ে দিল রেল। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের যৌথ উদ্যোগে গত শুক্রবার বৈঠকে ঠিক হয়েছিল ১৮১ জোড়া ট্রেন চালাবে রেল। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে কমসংখ্যক ট্রেন চলে ভিড় বাড়তে পারে ও করোনা স্বাস্থ্যবিধি উলঙ্ঘন হতে পারে এই ভয়ে রাজ্য রেলকে আরও বেশিসংখ্যক ট্রেন চালানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল।
রাজ্য সরকারের অনুরোধ মেনে নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা সব মিলিয়ে ৬৯৬ টি লোকাল ট্রেন চালাবে। এরমধ্যে পূর্ব রেল চালাবে ৬১৫ টি ও দক্ষিণ পূর্ব রেল চালাবে ৮১ টি লোকাল ট্রেন। শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রতিদিন চলবে ৪১৩ টি ট্রেন ও সেই জায়গায় হাওড়া ডিভিশনে প্রতিদিন চলবে ২০২ টি ট্রেন।
শিয়ালদহ ডিভিশনের উত্তর বা মেইন শাখায় চলবে ২৭০ টি ট্রেন। এরমধ্যে কৃষ্ণনগর শাখায় ২২ টি, নৈহাটি শাখায় ১০ টি, বারাসাত দত্তপুকুর শাখায় ৮ টি, হাসনাবাদ শাখায় ২৬ টি, কল্যাণী সীমান্ত শাখায় ১৪ টি, ব্যারাকপুর শাখায় ১৮ টি, শান্তিপুর শাখায় ১৪ টি, ডানকুনি বারুইপুর শাখায় ৩২ টি, রানাঘাট গেদে শাখায় ২৪ টি, রানাঘাট শাখায় ১৩ টি, রানাঘাট বনগাঁ শাখায় ১৭ টি এবং বনগাঁ শাখায় ৩৯ টি লোকাল ট্রেন চলবে। অন্যদিকে শিয়ালদহ ডিভিশনে দক্ষিণ শাখায় চলবে বাকি ১৪৩ টি ট্রেন। এরমধ্যে বজবজ শাখায় ২৭ টি, ক্যানিং শাখায় ৩১ টি, ডায়মন্ডহারবার শাখায় ২৪ টি, সোনারপুর শাখায় ১৯ টি, বারুইপুর শাখায় ২১ টি এবং লক্ষীকান্তপুর নামখানা শাখায় ২১ টি লোকাল ট্রেন চলবে।
হাওড়া ডিভিশনে প্রতিদিন ২০২ টি ট্রেন চলবে। প্রথমে হাওড়া ডিভিশনে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চালানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও রাজ্যের অনুরোধে কিছু স্বল্প দূরত্বের লোকাল চলবে। হাওড়া ডিভিশনের শেওড়াফুলি শাখায় ১৪ টি, সিঙ্গুর শাখায় ২ টি, হরিপাল শাখায় ২ টি, শ্রীরামপুর শাখায় ৬ টি লোকাল ট্রেন চলবে। তবে হাওড়া ডিভিশন এর সব থেকে বেশি ট্রেন চলবে ব্যান্ডেল শাখায় যা হল ৩৮ টি। এছাড়া তারকেশ্বর শাখায় ১৯ টি ট্রেন চলবে। বর্ধমান মেন লাইনে ২০ টি ও কড লাইনে ২২ টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
রাজ্য জানিয়েছে, রাজ্য কোন ভাবেই চায় না ট্রেন কম থাকায় স্টেশনে ভিড় হবে। ভিড় হলে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। সেই জন্যই রেলকে অনুরোধ করে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়েছে রাজ্য। এরপর কয়েকদিন ট্রেন চললে কোন শাখায় কেমন ভিড় হচ্ছে তার পরিসংখ্যান করে ভবিষ্যতে কত ট্রেন চালানো যাবে তা নির্ধারণ করবে রেল। অন্যদিকে রেলে তরফ থেকে প্রত্যেক যাত্রীকে করোনা থেকে বাঁচতে কোভিড প্রটোকল মানার অনুরোধ জানিয়েছে।