আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট পরীক্ষায় জয়ের উদ্দেশ্যে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকে অন্য রাজনৈতিক দলের কাজের কমতি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাইছে। বাংলার গেরুয়া শিবির ভোট প্রচার করতে গিয়ে বারংবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যু নিয়ে কটাক্ষ করেছে। সেই ইস্যুর মধ্যে অন্যতম হলো যে শাসক দল কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে অসহযোগিতা করে। আর তার জন্যই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় আসতে পারছে না বঙ্গবাসীরা। তাদের দাবি, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। তারা তাদের ন্যায্য প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে না।
অবশ্য সমস্ত গেরুয়া শিবিরের দাবিকে নস্যাৎ করে আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আজ বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ থেকে রাজ্যের কৃষকদের উপার্জন তিনগুণ বেড়ে গেছে।” এছাড়াও তিনি বলেছেন, “অন্যান্য রাজ্যে শস্য বীমার প্রিমিয়াম দিতে হয় কৃষকদের। কিন্তু বাংলায় সেই প্রিমিয়াম দেয় রাজ্য সরকার।” তিনি এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন, “কেন্দ্র সরকার দাবি করে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ হবে। কিন্তু হিসাব করলে দেখা যায় ২০২৮ সালের মধ্যে উপার্জন দ্বিগুণ হওয়া প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে তৃণমূল এর মধ্যেই রাজ্যের কৃষকদের উপার্জন তিনগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।”
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “২০১১ সালে বাংলা কৃষকদের গড় আয় ছিল ৯০ হাজার টাকা। এখন সেটাই হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তাছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু স্কিম চালু করেছে। এর আওতায় থাকলে একর প্রতি কৃষকদের ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়াও ১৮-৬০ বছর বয়সে কোন কৃষক মারা গেলে তাকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরকম কৃষকবন্ধু প্রকল্প গোটা দেশে আর কোন রাজ্যে নেই।”
এছাড়াও এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে নন্দীগ্রামের শহীদ দিবসে প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল আজকের দিনে সম্মানের সাথে শহীদদের স্মৃতিচারণ করে। নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর মানুষের পাশে সব সময় মমতা আছে। আর বাকি যারা এখন হঠাৎ হঠাৎ যাচ্ছে তারা সব রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে যাচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে আজকের শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। শেষে তিনি বলেছেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের জন্য কি কি করেছেন।”