রাজীব ঘোষ: লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে বিজেপির উত্থান হয়েছে।রাজ্যে এক ধাক্কায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে ১৮ হয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা অনেকটা কমে ২২ হয়েছে।ফলে সাংগঠনিকভাবে বিজেপি তৃণমূলের থেকে এখন যথেষ্ট শক্তিশালী।এবারের নির্বাচনে মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির ফলাফল ভালো হয়েছে।তাই আগামী ২০২১ সালে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির।রাজ্যে রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে হিন্দুত্বের শক্তি দেখিয়েছিল গেরুয়া শিবির।এবার জন্মাষ্টমীর মতো উৎসবকে সামনে রেখে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির।বিজেপি সরাসরি এই জন্মাষ্টমী উৎসব আয়োজন করার দায়িত্বে নেই।তবে জন্মাষ্টমী উদযাপনের অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতারা উপস্থিত থাকবেন।তারা এই কর্মকান্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে জন্মাষ্টমীতে রাজ্য জুড়ে দেড় হাজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে।ভিএইচপি-র মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য জুড়ে দেড় হাজার অনুষ্ঠান করা হবে।৫০০ টি শোভাযাত্রা হবে সারা রাজ্যে।গতবারের চেয়ে এবার অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি।বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে কলকাতাতেও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হচ্ছে।বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা শাখা দুর্গাবাহিনী জন্মাষ্টমী উৎসব আয়োজনের দায়িত্বে থাকছে।হিন্দুত্বের আবেগ জাগিয়ে তুলতে জন্মাষ্টমীকে সামাজিক উৎসবের চেহারা দিতে চলেছে ভিএইচপি।কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতা, নাম-সংকীর্তন, মহিলাদের ডান্ডিয়া নাচ সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জন্মাষ্টমী উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।স্বাভাবিক ভাবেই জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছে গেরুয়া শিবির।