বাংলায় বিজেপিকে রুখতে মমতার হয়ে প্রচারে আসছেন শরদ পাওয়ার
শরদ পাওয়ার তার কন্যা সুপ্রিয়া সুলের সাথে বাংলায় আসছেন
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নেওয়ার জন্য এবং ভোট-পরবর্তী জয়ের ভিত্তিপ্রস্তর মজবুত করতে প্রচারের কাজে নেমেছেন। এবারের নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ চলতি বছরের নির্বাচনে যে বিজেপি তৃণমূলের হেভিওয়েট লড়াই হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এরইমাঝে জানা গেছে, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এবার বাংলায় আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে নির্বাচনে ব্যাট করতে। আগামী ১ এপ্রিল রাজ্যে পা রাখবেন তিনি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করবেন ৩ এপ্রিল অব্দি। শরদ পাওয়ার এর সাথে তার সুকন্যা সুপ্রিয়া সুলেও বাংলায় আসছেন।
কিছুদিন আগেই শরদ পাওয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন যে এবারের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিত নিশ্চিত। তখন থেকেই প্রায় সবাই বুঝে গেছিল যে এবার অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শরদ পাওয়ার ঘাসফুল শিবিরের হয়ে প্রচার করতে পারেন। আর সেটাই সত্যি হলো। প্রায় ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করবেন শরদ পাওয়ার। তবে শুধুমাত্র যে শরদ পাওয়ার মমতার সাথে হাত মিলিয়েছে এমন নয়। বেশকিছু দিনে একাধিক জাতীয় স্তরের নেতাদের মমতার সুরে কথা বলতে শোনা গেছে।
কিছুদিন আগেই বামেদের সাথে সমঝোতা করার কথা ছিল লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কলকাতায় এসে বৈঠক করে তার পূর্ণ সমর্থন তৃণমূলে বলে জানিয়ে দিয়ে গেছেন। এছাড়াও সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন করবেন। এছাড়া আরো জাতীয় নেতৃত্বরা যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে তাহলে অবাক হওয়ার মত কিছু হবে না।
তবে শরদ পাওয়ার মমতার হয়ে প্রচারে আসছেন শুনে নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেস নেতৃত্বরা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য শরদ পাওয়ার কে ইমেইলে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছে যাতে না সে মমতার হয়ে বাংলায় প্রচার করতে আসে। তিনি যুক্তি হিসেবে বলেছেন যে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস আরজেডি, এনসিপি এর মত দলগুলির সাথে জোটে আছে। শারদ পাওয়ারের মমতাকে সমর্থন শরীকের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।