বৃহস্পতিবার পদ্মশিবির থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। আজ সকালে ট্যুইটারে ট্যুইট করে শ্রাবন্তী লেখেন, ‘বিজেপির সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছি। এই দলের হয়ে আমি গত রাজ্য নির্বাচনে লড়াই করেছি। কারণ হল বাংলার স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের উদ্যোগ এবং আন্তরিকতার অভাব…’। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকাই এক বিলাসবহুল রিসর্টে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন শ্রাবন্তী। যোগ দিতেই বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে ভোটের লড়াই করেন। এরপর ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন অভিনেত্রী। এরপর থেকে রাজনীতির ময়দানে বিজেপির কোনো বৈঠকে সেভাবে আর দেখা যায়নি শ্রাবন্তীকে।
শুধু রাজনীতি নয় পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানান বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নায়িকা। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। এরপর থেকে রাজনৈতিক মহল থেকে টলিপাড়ায় জোট গুঞ্জন শুরু হয়েছে এবার বোধহয় তৃণমূলে যোগদান করবেন শ্রাবন্তী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলেই সু পরিচিত ছিলেন শ্রাবন্তী। আর সেখান থেকে আচমকা পদ্মশিবিরে যোগদান হয়রান করেছিল অনেককেই। শ্রাবন্তী শিবির পালটালেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর প্রতি ভালোবাসা কমেনি। এমনকি দল পাল্টালেও নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বেশ শোরগোল ছিল তৃণমূল নেতা-সাংসদদের সঙ্গে। কখনও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর সঙ্গে ভোটের আগে দোলের উৎসবে মেতেছেন শ্রাবন্তী, কখনও আবার তৃণমূল সাংসদ নুসরতের সঙ্গে হাউজ পার্টিতে লেন্সবন্দী হয়েছেন। তো কখনো শোহমের সাথে ওয়েব সিরিজের কাজ করেছেন।
শ্রাবন্তীর দলত্যাগ নিয়ে এবার সরাসরি কথা বললেন শ্রাবন্তীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান। বৃহস্পতিবার নিজের আসন্ন রেডিও টক শো ‘ইশক উইথ নুসরত’-এর আনুষ্ঠানিক লঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান। আর সেখানেই প্রেস কনফারেন্সে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল শ্রাবন্তীর বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবার প্রসঙ্গে। সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে এদিন হাসি মুখে অভিনেত্রী জানান, ‘শ্রাবন্তী তাঁর খুব ভাল বন্ধু। ও যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের জন্য ওকে অনেক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। শ্রাবন্তী তৃণমূল করুক, বা বিজেপি, কোনও ক্লাবে গিয়ে পার্টি করুক বা তাঁর বাড়িতে এসে আমার সঙ্গে পার্টি করুক— ওর পাশে তিনি সব সময়ে আছেন’। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষ মন্তব্য না করলেও নুসরত কিন্তু স্পষ্ট করলেন টলিউডে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনীতির রঙ কোনও ফ্যাক্টর নয়। তিনি জানান, ‘এখানে নিজের ট্যালেন্টের ভিত্তিতে কাজ পাওয়া যায়। কেউ কারুর ভাগ্য কেড়ে নিতে পারে না। রাজনীতি জড়িয়ে কোনোভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে কারুর কাজ কেড়ে নেওয়া হয় না’।