Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

পেট্রোল ভুলে যান! Hero Splendor Electric এলো নতুন লুকে, রেঞ্জ ২৫০ কিমি

Updated :  Wednesday, September 3, 2025 10:02 AM
Hero Splendor Electric 2025

হিরো স্প্লেন্ডার ইলেকট্রিক ২০২৫: ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমিউটার বাইক এবার এলো বিদ্যুতে নতুন রূপে। পরিবেশবান্ধব এবং কম খরচে চলা এই বাইককে ঘিরে ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের মধ্যে তুমুল উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।

ক্লাসিক ডিজাইন, আধুনিক ছোঁয়া

হিরো স্প্লেন্ডার ইলেকট্রিক তার পরিচিত আকৃতিই ধরে রেখেছে। মিনিমালিস্ট ডিজাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক ফিচার—রাউন্ড LED হেডল্যাম্প, ম্যাট ব্ল্যাক, ব্লু অ্যাকসেন্ট, সিলভার ও পার্ল হোয়াইট কালার অপশন। প্রায় ২০০০ মিমি দৈর্ঘ্য, ৭২০ মিমি প্রস্থ এবং ১০৫০ মিমি উচ্চতার বাইকটির কের্ব ওজন ১১০ কেজি। ফলে শহরের যানজট কিংবা গ্রামের সরু রাস্তায় বাইকটি চালানো সহজ। সামনের ১৭-ইঞ্চি অ্যালয় হুইল ও টিউবলেস টায়ার দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী।

টেকনোলজি ও ফিচার

বেস ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে সেমি-ডিজিটাল ক্লাস্টার, যেখানে স্পিড, রেঞ্জ, ব্যাটারির চার্জ সবই দেখা যায়। হাইয়ার ভ্যারিয়েন্টে যুক্ত হয়েছে ৪.৫৯ ইঞ্চির LED স্ক্রিন, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, লোকেশন ট্র্যাকিং, ডায়াগনস্টিক ও USB চার্জিং পোর্ট। LED লাইটিং, সাইড-স্ট্যান্ড কাট-অফ ও CBS (Combined Braking System) সব ভ্যারিয়েন্টেই দেওয়া হয়েছে। তবে বেস মডেলে স্মার্টফোন অ্যাপ সাপোর্ট বা রিভার্স মোড নেই, যা প্রতিযোগী TVS iQube-তে আছে।

পারফরম্যান্স ও রেঞ্জ

৩ কিলোওয়াট BLDC মিড-মাউন্ট মোটর থেকে বাইকটি উৎপন্ন করে প্রায় ৪ bhp পাওয়ার ও ২৫৫ Nm টর্ক। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিমি এবং ০–৪০ কিমি পৌঁছতে লাগে প্রায় ৭ সেকেন্ড। ৪ kWh লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে রেঞ্জ পাওয়া যায় ১২০ কিমি (স্ট্যান্ডার্ড) বা ১৮০ কিমি (অতিরিক্ত ব্যাটারিতে)। চার্জিং সময় সাধারণ ১৫A সকেটে ৪–৫ ঘণ্টা, আর ফাস্ট চার্জারে (১১ kW) মাত্র ১.৫ ঘণ্টায় ৮০%। ইকো, সিটি ও পাওয়ার—এই তিনটি রাইডিং মোড থাকায় ব্যবহারকারী নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।

সুরক্ষা ও আরাম

CBS ব্রেকিং সিস্টেম, টিউবলেস টায়ার এবং সাইড-স্ট্যান্ড কাট-অফ সুবিধা রয়েছে। হাইয়ার ভ্যারিয়েন্টে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং ও বেসিক ABS সংযোজিত। হালকা ওজন ও লো সেন্টার অফ গ্র্যাভিটি থাকায় বাইকটি ট্রাফিকের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক ও টুইন শক এবজর্ভার গর্তওয়ালা রাস্তায় আরাম দেয়, যদিও বেশি গতিতে সাসপেনশন কিছুটা নরম মনে হতে পারে।

দাম ও অফার

বাইকটির দাম শুরু হয়েছে ১.০৫ লাখ (এক্স-শোরুম, সাবসিডির পর) থেকে এবং টপ ভ্যারিয়েন্টে পৌঁছেছে ১.৩০ লাখে। দিল্লিতে অন-রোড দাম পড়ছে ১.১৫–১.৪৫ লাখের মধ্যে। বুকিং শুরু হয়েছে ৫,০০০ টোকেন মানিতে। সঙ্গে রয়েছে এক্সচেঞ্জ বোনাস (১০,০০০–২০,০০০ পর্যন্ত), লো-ইন্টারেস্ট EMI (২,৫০০ মাসিক থেকে) এবং বিশেষ ডিসকাউন্ট অফার।

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া

ব্যবহারকারীরা বাইকের পরিচিত ডিজাইন, ১২০–১৮০ কিমি রেঞ্জ, কম খরচে চলা (প্রতি কিমি ২৫–৩০ পয়সা) এবং হিরোর নির্ভরযোগ্য সার্ভিস নেটওয়ার্ককে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। তবে সীমিত টপ স্পিড, বেস ভ্যারিয়েন্টে ডিস্ক ব্রেকের অভাব এবং স্টোরেজ স্পেস কম হওয়ায় কিছুটা অসন্তোষও রয়েছে।